ভাটিয়াপাড়া-কালনা আঞ্চলিক মহা-সড়ক আজ বিলীন হয়ে গেছে। সড়ক ও জনপথের পাকা আঞ্চলিক মহা-সড়কটির কোন অস্তিত্ব এখন আর খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছে না। দক্ষিনাঞ্চলর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যানবাহন চলাচল বর্তমান বন্ধ রয়েছে। জানাগেছে, দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এই সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি দিয়ে ঢাকা, ফরিদপুর গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়াতপুর,বাগেরহাটের মানুষ ও পণ্যবাহী যানবাহন মাগুড়া, নড়াইল, যশোহর, খুলনা, বেনাপোল বন্দরে যাতায়াত করে। যে কারণে সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেনাপোল পোর্ট থেকে খালাস হওয়া ভারতীয় পন্যবাহী যানবাহনগুলি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেএই সড়কটি দিয়ে। সে কারণেই সড়কটি আলাদা গুরুত্ব বহন করে। এই সড়কটিকে কেন্দ্র করে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম দৃষ্টি নন্দন আট লেন সেতু। যাতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ নির্বিগ্নে মাগুড়া,নড়াইল, যশোহর,খুলনা, বেনাপোল বন্দরে যাতায়াত করতে পারে। বেনাপোল বন্দর থেকে দেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সাশ্রয়ী খরচে পণ্য বাহী যানবাহন যাতায়াত করতে পারে। সেই সাথে সাধারণ মানুষ স্বল্প খরচে এই সড়কটি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারে। আজ আর এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির কোন অস্তিত্ব নাই। দেখে বোঝার কোন উপাই নাই এইখানে কোন দিন কোন পাকা (কার্পেটিং) বড় রাস্তা ছিলো। এখন শুধুই কাদা আর কাদা। পাকা রাস্তার কার্পেটিংয়ের কোন চিহ্ন পর্যন্ত খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রথীন্দ্র নাথ রায় ও কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমান রাস্তাটির দুরাবস্থা দেখে জেলা সদরে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বারবার যোগাযোগ করে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলি কোন মতে মেরামত করার ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ওসি নিয়মিত রাস্তার সংস্কারে কাজ তদারকি করছেন যাতে সাধারণ মানুষের একটু উপকার হয়। স্থানীয়রা জানায়, জোড়াতালি দিয়ে এই রাস্তাটি মেরামত করলে মাত্র কয়েকদিন যানবাহন চলতে পরে আবারও পূরানো চেহারায় আসবে এই রাস্তাটি। এলকাবাসীর দাবী নামমাত্র দুই এক বছর পরপরই রাস্তাটি মেরামত করা হলেও মানুষের কল্যাণে আসেনা। দেখে মনে হয়ে ইদুঁরে পকেট কেটেছে। সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহিদ হোসেন জানান, প্রতিদিন ধারন ক্ষমতার বাইরে শ,শ বালু বোঝাই ড্রাম্প ট্রাক চলাচলের জন্য রাস্তাটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেরামত করার চেষ্টা করছি। রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভাবে নতুন ভাবে করতে হবে। প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বরাদ্ধ আসলে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারলে আর কোন অসুবিধা হবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে।