টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত থাকলেই রাজা-বাদশা হওয়া যায় না রাজা-বাদশা হতে হলে রাজার মতো মন ও কার্যক্রম থাকতে হয়। তেমনি একটি রাজা কে খুঁজে পাওয়া গেছে বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিপাকে পড়া অর্ধশতাধিক ছিন্নমূল মানুষকে সেই করোনা শুরু থেকে অদ্যবধি পযর্ন্ত নিয়মিত তিন বেলা খাবার দিচ্ছেন গরীবের রাজা নামের এক ব্যক্তি। তিনি এখন বাড়ি থেকে রান্না করে সান্তাহার স্টেশনে নিয়ে এস এ সব ছিন্নমুল, অসহায় মানুষের মাঝে তিন বেলা খাবার খাওয়াছেন। জানা যায়, গত ২৪ মার্চ-২০১৯ ইং থেকে সারা দেশের ন্যায় বগুড়ার সান্তাহার জংশন শহরের লকডাউন শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন, বাসসহ সকল প্রকার দোকানপাট ফলে জনশূণ্য হয়ে পড়ে রেলওয়ে স্টেশন এলাকা। ফলে স্টেশন থাকা ছিন্নমূল মানুষরা মহা বিপদে পড়েন যায়। এ ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকায় ছুটাছুটি করেও যে খাবার সংগ্রহ করবে তারও উপায় নেই। সান্তাহার মাইকো ষ্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম রাজা নামে এক ব্যক্তি তিনি নিজ উদ্যোগে এসব ছিন্নমূল মানুষের জন্য খাবার খাওয়ানোর দায়িত্ব নেয়। এরপর গত ২৪ মার্চ রাত থেকে রান্না করে এসব ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাবার খাওয়ানো শুরু করেন অদ্যবধি পযর্ন্ত অব্যহত রয়েছে। আজিজুল ইসলাম রাজা বলেন, আমাদের সমাজে অনেক বিত্তশালী মানুষ রয়েছে। কিন্তু কেউ তাদের খোঁজ খবর নেয় না। তাই তো আমি আমার নিজ উদ্যোগে তাদের তিন বেলা খাবার ব্যবস্থা করতে পারায় খুব ভালো লাগছে। তার এই মহৎ উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়ে সান্তাহার নাগরিক কমিটির যুগ্ন সম্পাদক ও সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম রবিন বলেন, রাজার সত্যি এক গরীবের রাজা। রাজা মতো সমাজের অন্যদেরও এভাবে এগিয়ে আসা উচিৎ। তাহলে ছিন্নমূল, অসহায় মানুষের অন্তত ক্ষুধার জ্বালা মেটানো সম্ভব হবে।