মাঝে মাঝেই শান্তর মনে হয় তার কথা শোনার মতো কেউ নেই। তার চারপাশের পরিবেশ খুব বেশি আলাদা। সব কিছু থাকতেও, কেমন যেন একাকীত্ত্ব নিয়ে বাঁচতে হয় তাকে। মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারের প্যাসেন্ট হওয়ার কারণে কিছু দিন পর পরই আত্মহত্যার চেষ্টা করে শান্ত। আজকাল বাবা-মায়ের ঝগড়া আর অনির চলে যাওয়ার ব্যাপারটা একদমই মেনে নিতে পারছে না সে। আত্মহত্যা করার জন্য মধ্য রাতে ব্রিজের ওপর গিয়ে দাঁড়ায়। ওই সময়ে যদি ওহি না এসে পৌঁছাতো, তাহলে হয়তো শান্তর গল্পটা সেখানেই শেষ হয়ে যেতো। ওহি ইচ্ছা করেই শান্তর সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি করতে শুরু করে। বুঝতে চেষ্টা করে শান্ত কেন বেঁচে থাকতে চায় না। দুজনের সম্পর্ক দিন দিন এগুতে থাকে। একদিন ওহির পাশে বসে থাকাবস্থায় শান্ত অজ্ঞান হয়ে পড়ে। সেদিন ওহি বুঝতে পারে শান্ত মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারের রোগী। হাসপাতালে যাওয়ার পর ওহি আরো বুঝতে পারে, পারিবারিক ঝামেলা শান্তকে আরো অসুস্থ করে তুলছে। হুট করেই শান্তর কানে কানে বিয়ের কথা বলে দেয় ওহি। শান্তর বাসায় বাবা-মায়ের ঝগড়ার ব্যাপারটার কোনো পরিবর্তন হয়নি। শান্ত আবার আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। শান্তকে ফোনে না পেয়ে, ওহিরও বুঝতে দেরি হয়নি, শান্ত কোনো খারাপ সিদ্ধান্তের দিকে আগাচ্ছে। শান্ত লিখা শুরু করে তার সুইসাইড নোট। নোট লিখা শেষ করে এক পা দু’পা করে, নিজের জীবনের আলোকে নিভিয়ে দেওয়ার পথে এগুতে থাকে সে। বাবা-মা তখনো নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছে। ওহি ছুটছে শান্তর বাসার দিকে।
এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে একক নাটক ‘রঙিন কাগজ’। এর চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন মারুফ হোসেন সঞ্জীব। এটি পরিচালনা করেছেন সাইদুর ইমন। এতে শান্ত চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোভান আহমেদ। আর ওহি চরিত্রে দেখা যাবে সাফা কবীরকে। ঈদুল আজহার দিন সন্ধ্যা ৭টায় দীপ্ত টিভিতে প্রচার হবে এ নাটক।