বর্ষা এলেও ভরা মৌসুমে ইলিশের দেখা নেই ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে। ইলিশ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে জেলেরা। একদিকে নদীতে মাছ নেই অন্যদিকে করোনায় কর্মহীন- ফলে পরিবার নিয়ে চরম দুর্দিনে জেলেরা। মৎস্য বিভাগ বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মাছের সংখ্যা কমেছে। দেশের ইলিশ আহরণের অন্যতম দ্বীপজেলা ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে। খ্যাতি অনেক পুরনো। দেশের চাহিদার প্রায় ২৫ ভাগ আসে এই জেলা থেকে। আর এখানকার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার জলসীমায় মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন তিন লাখের বেশি জেলে। তাই তারা প্রতিবছর ইলিশের ভরা মৌসুমের অপেক্ষায় থাকেন। এবার মৌসুম শুরুর আগে, অনেক জেলে এনজিও ও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সংগ্রহ করেছেন নতুন জাল ও নৌকা। কিন্তু দিন-রাত জাল ফেলে ৮/১০টি ইলিশ নিয়ে ফিরতে হচ্ছে তাদের। কাঙ্খিত ইলিশ না মেলায় ঘাটগুলোতে অনেকটা শুনশান নিরবতা। অলস সময় পার করছেন আড়ৎদাররা। দু-এক ঝুড়ি মাছ ঘাটে আনা হলেও আগের মতো নেই হাকডাক। শুধু জেলেরা নয় মাছ না পাওয়ায় পূঁজি হারানোর শংকায় রয়েছেন মহাজনরাও, মেঘনার জেলে নান্নু মিয়া জানান, আমরা নদীতে যাওয়ার সময় যে বাজার নিয়ে যাই যে পরিমানে মাছ পাই তাতে আমারে বাজার খরছের টাকা ও হয় না, জেলে মো: কামাল মিয়া জানান, আমরা নদীতে মাছ ধরা ছাড়া অন্য কোন কাজ করতে অব্যস্থ নই নদীতে মাছ কম হওয়ায় ধার-দেনা নিয়ে আমাদের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। মৎস্য বিভাগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি কম বৃষ্টি হওয়ায় নদীতে নোনা পানির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে মাছের সংখ্যা কমছে। তবে তারাতারি প্রচুর ইলিশ পাওয়ার আশা করছি আমরা। সরকারি হিসাবে ভোলায় নিবন্ধিত জেলে এক লাখ ৩৯ হাজার জন। তবে নিবন্ধনের বাইরে রয়েছেন দুই লাখের বেশি।