কক্সবাজার মহেশখালীতে টানা বর্ষণে লন্ডভন্ড প্রধান সড়ক, ঘরবাড়ী দু’দিনে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার (২৮ জুলাই) গভীররাতে প্রবল বর্ষণ এবং সৃষ্ট বৃষ্টির পাহাড়ি ঢলে উপজেলার হোয়ানক, কুতুবজোম, কালারমারছড়া, শাপলাপুর, বড় মহেশখালী, ছোট মহেশখালী, ধলঘাটা ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নের নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়ে শতশত একর পান চাষের জমি, ধান চাষের জমি, চিংড়ী চাষের জমিসহ মানুষের বসবাসরত ঘরবাড়ী ভেঙ্গে ব্যাপক ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রধান সড়কের পাহাড়ি ঢল প্রবাহিত হয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সড়ক লাগোয়া দোকানঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। দোকানদার ও যান চালকদের দাবী সড়কের দু’পাশে গাইডওয়াল না থাকায় এঅবস্থা। এমনকি হোয়ানক ইউনিয়নের বড় ছড়ার মাঝের পাড়া স্থানে ছড়ার বাঁধ ভেংগে ফসলী জমির প্লাবিত হয়। ওই ইউনিয়নে পাহাড় ধসে এক বৃদ্ধাসহ দু’দিনে ২ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, দিবাগত রাত উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজুয়ার ঘোনায় পাহাড় ধসে আলী মিয়া নামের ৮০ বছরের উর্ধ্বে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি একই এলাকার মৃত রফিক উদ্দিনের পুত্র। উদ্ধারকৃত প্রতিবেশিরা জানান, পাহাড় ধসে বৃদ্ধা ব্যক্তি গভীর রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অবস্থায় জায়নামাজের উপর তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া। তিনি এলাকার প্রবীণ মুরব্বিসহ সকলস্থলের মানুষের একটা ভাষ্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি এবং ধর্মপ্রাণ লোক ছিলেন। মৃত আলী মিয়ার পুত্র নুরুল আমিন জানান, গভীর রাতে ভারী বর্ষণে পাহাড়ি মাটি ধসে পড়ার অশংকা টের পেয়ে তারা সবাইকে সতর্ক করার সাথে সাথে হঠাৎ পাহাড় ধসে তাঁর পিতা নামাজ পড়া অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়াও মাটি ছাপায় গবাদিপশু একটি গরু এবং একটি ছাগলও মারা যায় প্রত্যেক্ষদর্শীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ওই পরিবারের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেন। স্থানীয় এমইউপি আবু বক্কর সাংবাদিকদের উক্ত মর্মান্তিক ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য এর আগের দিনও উপজেলাের ছোট মহেশখালী উত্তর সিপাহী পাড়ায় পাহাড় ধসে আনছারের মেয়ে মুরশিদা(১৮)নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছিলো। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, দূর্ঘটনা কবলিত ওই স্থান পরিদর্শন করেন এবং সরকারীভাবে সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে জানান।