কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে পাট কাটা ও জাগ দেওয়া শুরু হয়েছে। ফলে বিস্তির্ণ চরাঞ্চলসহ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জের কৃষক-কৃষাণীরা পাটের সোনালী আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন । দেখলে মনে হয় যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের। শত ব্যস্ততার মাঝেও কৃষকেরা পাটের দাম ভালো থাকায় মহাখুশি। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানায়ায়, চলতি মওসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ২ হাজার ২১৬ হেক্টর কিন্তু আবাদ হয়েছে ২ হাজার ২২০ হেক্টর। তবে অনাবৃষ্টির কারনে ফলন কিছুটা কম হলেও পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকার আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। সরেজমিনে গত সোমবার (২৬ জুলাই) উপজেলার সিদলা, হাজীপুর, রহিমপুর, সাহেবেরচর, জিনারী, গোবিন্দপুর,পানান,পুমদি, চর-বিশ্বনাথপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক-কৃষাণীরা পাট কাটা ও পাটের সোনালী আশঁ সংগ্রহে ব্যস্ত রয়েছেন। এ সময় পানান গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম, সাহেবেরচরের কৃষক কালা মিয়া, রহিপুরের কৃষক মোহন মিয়া, গড়মাছুয়া গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়াসহ অনেকেই জানান, এ বছর অনাবৃষ্টির কারনে পাটের ফলন কিছুটা কম হলেও দাম ভালো পাওয়ায় তারা খুবই খুশি। সূত্র মতে, এ বছর প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ৪৭ মন পাট উৎপাদন হয়েছে। প্রতি মন পাট প্রকার ভেদে ২ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। ফলে প্রতি হক্টেরে ২২-২৮ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে কৃষকের। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইমরুল কায়েছ জানান, এ বছর অনাবৃষ্টি থাকা সত্বেও পাটের ফলন মুটামোটি হয়েছে। বর্তমান বাজারে পাটের দামও খুবই ভালো। তবে নতুন করে কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দিলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি