রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

গজারিয়ায় মেঘনার শাখা ফুলদী নদীর পানির তীব্র স্রোতে হুমকির মুখে বাড়ি ঘর-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

গজারিয়া প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১

গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের বৈদ্দারগাঁও গ্রামে ফুলদী নদীর পানির তীব্র স্রোতে গ্রামের উত্তর পাড়া ও দক্ষিনপাড়ার একাধিক বাড়ি ঘর, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে, গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মান করে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,মেঘনা নদীর শাখা ফুলদী নদী টেংগারচর ইউনিয়নের বৈদ্দারগাঁও গ্রামের দড়িকান্দি খাল দিয়ে পূর্ব দিকে বহমান।বর্ষায় পানি বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। এই তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে গেছে খালের দু’পাড়ের একাধিক বাড়ি ঘর,রান্না ঘর, গোঁয়াল ঘর, বাথরুম, হুমকির মুখে রয়েছে প্রায় বিশ পরিবারের অর্ধশত ঘর বাড়ি, হুমকির মুখে ৮২নং দড়িকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে ভবনের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে,যে কোন সময় ঘটতে পাড়ে দুর্ঘটনা। গ্রামের দক্ষিনপাড়ার বৃদ্ধ বুলু মিয়া জানান,স্রোতের তীব্রতায় ভেঙ্গে গেছে তাঁর বসত ভিটার দুই তৃতীয়ংশ, বসত ঘরও ভাঙ্গনের মুখে, রাতে ঘুমাতে পাড়েন না ভয়ে,প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের আতংকে কাটছে সময়। ভাঙ্গনের শিকার আরেক এলাকাবাসী নুর মোহাম্মদ জানান, গত দুই বছর যাবৎ বর্ষাকাল এলেই আতংকে কাটে আমাদের দিন রাত, এই খালের দু’পাড়ে অধিকাংশ’ই দিন মুজুর, কৃষিজীবি খেটে খাওয়া মানুষ। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছি।কিন্তু ইউঃপিঃচেয়ারম্যান বিষয়টি কর্নপাত করেন নাই। আকলিমা খাতুন বলেন তিনবছর ধরেই এলাকা ভাঙতে শুরু করেছে। নানা চেষ্টার পর রান্না ঘর ও বসতভিটা রক্ষা করা গেলে না। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে এ ব্যাপারী বললেও, এই এলাকার ভাঙ্গন ঠেকাতে কখনোই কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আজিজুর রহমান বলছেন, ‘‘আমরা সরকারের কাছে চাল ডালের মতো কোন সাহায্য চাই না। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি, বসতভিটা রক্ষা ভাঙ্গন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। বিশেষ করে, নদীর পারে গাইডওয়ালও বালুর বস্তা দেয়া হোক। তাহলেই আমাদের কোটি টাকার সম্পত্তি বেচে যাবে। তাহলেই আমরাও বেচে যাবো।’’ ইতিমধ্যে ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন হুমায়ন কবির, নুর মোহাম্মদ, আজিজুর রহমান, আকলিমা খাতুন, প্রতিবন্ধ শহিদ, বুলু মিয়া, ফজলুল হক। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী ব্যক্তিগত ভাবে নিজস্ব অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের বেড়া,বালু ভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা করছেন। এলাকাবাসীর দাবি এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙ্গন রোধ করা,এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তাঁরা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃজিয়াউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভাঙ্গনের বিষয়টি জানার সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি।আমরা তাৎক্ষণিক ভাঙ্গন রোধে বাঁশের বেড়া ও বালুর বস্তার ব্যবস্থা করছি, পরবর্তীতে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com