রংপুরের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল, ঠিকাদারের সাথে আঁতাত ও কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান প্রকৌশলী শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ঢাকা বাংলাদেশ বরাবরে অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগে জানা েেছ, নির্বাহী প্রকৌশলী শিক্ষা প্রকৌশলী রংপুর এবং তার সহযোগী ঠিকাদার মিলে আত্মসাৎকৃত অর্থ বৈধ করার উদ্দেশ্যে পুনরায় দরপত্র আহবান না করে নিজের খেয়াল খুশি মত কাজ করে সরকারি অর্থ লোপাট করেছেন। রংপুর সদর উপজেলার সাহেবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য মেসার্স জেসিএইচ-এইচ-ই-জেভি নামক প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি বাইশ লক্ষ এক হাজার আটাশ টাকার কার্যাদশে দেয়া হয় গত ২০১৯ ইং সালের এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখ। নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে সাথে নিয়ে কোন কাজ না করে প্রথমে ঠিকাদারকে ৫০ লক্ষ টাকা বিল দেয়া হয়। উক্ত টাকার মধ্যে ঠিকাদারকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে বাকি টাকা আসাদুজ্জামান প্রধান প্রকৌশলীকে দিতে হবে মর্মে নিয়ে নেয়। এভাবে সরকারের প্রা@ ৫০ লক্ষ টাকা তুলে নেয়া হয়। মাটি নরম হওয়ার কারণে নরমাল ফাউন্ডেশন দিয়ে কাটি করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আগের আত্মসাৎকৃত টাকা বিধি বহির্ভূতভাবে সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভুয়া ভাউচার দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে এবং স্কুল ভবনের নকশা নতুন করে অধিদপ্তর থেকে পাস করে এনে কোটি টাকার কাজ উন্মুক্ত দরপত্র না করে উক্ত ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করেন। স্কুল ভবনের নতুন নকশা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পুনরায় টেন্ডার না করে দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে উক্ত ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করে ভুয়া বিল ভাউচার দাখিল করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেন মনোনিত ঠিকাদারের মাধ্যমে নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান। নাগরিক শিক্ষাঙ্গন উচ্চ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। ১৬/০৪/২০১৯ তারিখে একই কায়দার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ এন্ড রাজ্জাক জেভি, দিনাজপুর নামক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ৪০ লক্ষ টাকা তুলে নেয়। পরবর্তীতে কাজ শুরুর আগে সয়েল টেস্ট করলে মাটি নরম হওয়ায় নরমাল ফাউন্ডেশন দিয়ে কাজ করা যাবে না মর্মে জানান হয়। প্লান সংশোধন করে কোন প্রকার নতুন টেন্ডার না করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে ৪০ লক্ষ টাকার ভুয়া ভাউচার করে টাকা আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজে নতুন নকশা অনুযায়ী সরকারের কোটি টাকা লেনদেন করে পূর্বের ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে দেয়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রংপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান এর বিরুদ্ধে টেন্ডার জালিয়াতি করে নিজের পছন্দ মত ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার বিনিময়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ঊঠেছে টেন্ডার জালিয়াতি করে সরকারি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ। ২০ কোটি সরকারি কাজের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে আর কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণে সাড়ে চার কোটির কাজ লিকুইড অ্যাসেট চাওয়া হয়েছে মাত্র ২৭৫ কোটি। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় একশত কোটি ব্যয়ে সারাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় রংপুর জেলায় মহানগরীর বিনোদপুর মৌজার ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপরীত পার্শ্বের জায়গায় অধিগ্রহণ করেন। ২০২০ সালে জুলাই মাসে দরপত্র আহবান করা হয় প্রায় ২০ কোটি টাকার বড় কাজটি নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান নিজের পছন্দ ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে কমিশন বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে টেন্ডার ডকুমেন্ট পরিবর্তন করে কমিশন বাণিজ্য করেন। সরকারি আইন এবং ক্রয় নীতি অনুযায়ী ২০ কোটি টাকার একটি অফিস বিল্ডিং নির্মাণের জন্য অভিজ্ঞতা হিসেবে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার সরকারি কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন সনদ চাওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান তার নিজের পছন্দ মত ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য আইনকে পাস কাটিয়ে সরকারি নির্মাণ কাজের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল এবং আলুর কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের অভিজ্ঞতা যোগ করে দেন, যাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, আসাদুজ্জামান টেন্ডার জালিয়াতি করে কোটি কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য করার জন্য এটি করেছেন। এছাড়া রংপুর, গাইবান্ধা জেলার চারটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ছয় তলা ভবন নির্মাণের টেন্ডার ডকুমেন্ট পরিবর্তন করে নিজের পছন্দ মত ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে কোটি টাকার কমিশন নিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান। অনুসন্ধানে জানা যায়, টেন্ডার আইডি নং- ৩৫৪০৯৬ আমিনা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা, আইডি নং- ৩৫৪০৯৭ সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা, টেন্ডার আইডি নং- ৩৫৭২০০ পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রংপুর, টেন্ডার নং- ৩৪৯৩৩৪ মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ভবনের প্রাক্কলন মূল্য সাড়ে চার কোটি টাকা পিপিআর অনুযায়ী টেন্ডার ডকুমেন্ট লিকুইড অ্যাসেট চাওয়ার কথা প্রায় তিন কোটি টাকা কিন্তু টেন্ডার জালিয়াতি করার উদ্দেশ্যে মাত্র ২৭৫ টাকা চাওয়া হয়েছে। যাহা সাগর চুরি সমান। আসাদুজ্জামান রংপুর, গাইবান্ধা দায়িত্ব পালনের সময় নিজের পছন্দ মত ঠিকাদার ব্যতীত অন্য কাউকে কোন দিন কাজ দেননি। নিজের ইচ্ছামত দরপত্র দাখিল করে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করে নিচে আত্মসাৎ করেছেন এবং সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তার রংপুর শহরের মুন্সীপাড়ায় ৫ কোটি টাকার বাসাও রয়েছে। এ ব্যাপারে রংপুর শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের নিজম্ব মোবাইল ফোনে (০১৭১২০৭২৮৮৬) নম্বরে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।