অপরিকল্পিত বাতিঘর নির্মাণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট এবং বাড়ির উঠানে জমে আছে হাঁটু পরিমান পানি। প্রতিদিন পানি পেরিয়ে তাদের দৈনন্দিন কাজ করতে হচ্ছে। পানি বন্দি থাকায় পরিবারগুলোর বিভিন্ন সদস্যর মধ্যে দেখা দিতে শুরু করেছে পানিবাহিত নানা রোগ। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মিরসরাইয়ে পানিবন্দি হয়ে আছে উপজেলার ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ফেনাপুনি গ্রামের প্রায় ১২০ পরিবার। অপরিকল্পিতভাবে সেচ প্রকল্প নির্মাণ এবং পানি নিষ্কাশনের খালগুলো বেদখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ার এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে গ্রামবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, কাটাছরা, মিঠানালা, মিরসরাই সদর, মিরসরাই পৌরসভা, খৈয়াছড়া, ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনাপুনি এলাকার বাসিন্দা এস এম হাসান বলেন, এই গ্রামে বৃষ্টি হলে বসতঘরে পানি ঢুকে যায়। একে তো লকডাউনে মানুষ বেকার। তার উপর পানি বন্দি হয়ে আছে এখানকার প্রায় ১২০ পরিবার। থাকা ও রান্না করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ১৫নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ জানান, পাহাড়ি ঢলে মাইজগাঁও, খাজুরিয়া, বড়কমলদহ, গাছবাড়িয়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়নের হাবিব উল্লাহ ভূঁইয়া সড়ক, নিজামপুর রেল ষ্টেশন সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে নিজামপুর রেল ষ্টেশন সড়ক ও হাবিব উল্লাহ ভূঁইয়া সড়ক দিয়ে চলাচল করতে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিনহাজুর রহমান বলেন, মুলত মানুষ অপরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ি নির্মাণ করায় বৃষ্টির পানিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। খৈয়াছড়ার ফেনাপুনি এলাকায় কিছু পরিবার পানিবন্দি রয়েছে বলে শুনেছি। তাদেরকে সরকারিভাবে সাহায্যের চেষ্টা করা হচ্ছে।