ওয়ানডে ও টেস্ট ফরম্যাটে দুই দল সিরিজ খেললেও ব্যতিক্রম টি-টোয়েন্টিতে। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দল এখনো সিরিজ খেলেনি। এবার প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামার অপেক্ষায় দুই দল। আর সেটা বাংলাদেশের মাটিতেই। আগামী মঙ্গলবার শুরু পাঁচ ম্যাচ সিরিজের ব্যাট-বলের লড়াই।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ পাচ্ছে না মুশফিকুর রহীমকে। লিটনও অনিশ্চিত। তবে ঘরের মাঠ বলেই বাড়তি উজ্জীবিত টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাসও কাজে দেবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। চারটি টি টোয়েন্টি ম্যাচে মোকাবেলা হয়েছে, তাও বিভিন্ন বিশ্বকাপে। চারটিতেই জয় অস্ট্রেলিয়ার। ওয়ানডেতে একমাত্র জয়, সেই কার্ডিফে, আশরাফুল বদান্যতায়। এবার ঘরের মাঠে টি টোয়েন্টিতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে মুখিয়ে আছে বাংলাদেশ। মহামারীকালে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে বাংলাদেশে তৃতীয় আন্তর্জাতিক সিরিজ এটি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নানা চাওয়ার পূরণ করার প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে কঠোর সুরক্ষা বলয় থাকছে এবারই। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় পা রেখেই তিন দিনের কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছে অজি শিবির। এরপর শুরু হবে অনুশীলন। চোট ও ব্যক্তিগত কারণ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই সফরে আগে থেকেই নেই ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, প্যাট কামিন্স, জাই রিচার্ডসন, কেন রিচার্ডসনের মতো শীর্ষ কয়েকজন ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও। বাংলাদেশ সফরে আসা দলের তাই অধিনায়ক নেই এখনো। ম্যাথু ওয়েড বা অ্যালেক্স কেয়ারির একজন পেতে পারেন সেই দায়িত্ব। বিভিন্ন সিরিজ-টুর্নামেন্ট মিলিয়ে বাংলাদেশে এটি অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ সফর। প্রথমবার এসেছিল তারা ১৯৯৮ সালে, আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপে (এখনকার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি)। সেবার এক ম্যাচেই শেষ হয় তাদের অভিযান।
এরপর ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সফরে আসে তারা দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলতে। ২০১১ বিশ্বকাপের ঠিক পরে খেলে তিন ম্যাচের ওয়ানডের সিরিজ। ২০১৪ সালে তারা অংশ নেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সবশেষ ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ানরা খেলে যায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এবার শুধুই টি-টোয়েন্টি। দ্রুততম সময়ে সিরিজটি শেষ করতেই পাঁচটি ম্যাচ হবে স্রেফ সাত দিনের মধ্যেই। সবগুলো ম্যাচই মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।
আগামী মঙ্গলবার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পরের দিন দ্বিতীয় ম্যাচ। এক দিন বিরতি দিয়ে ৬ আগস্ট তৃতীয় ম্যাচ। পর দিন ৭ আগস্ট চতুর্থ ম্যাচ। ৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ।
অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড : অ্যাশটন অ্যাগার, ওয়েস অ্যাগার, জেসন বেহরেনডর্ফ, অ্যালেক্স কেয়ারি, ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান, জশ হেইজেলউড, মোইজেস হেনরিকেস, মিচেল মার্শ, বেন ম্যাকডারমট, রাইলি মেরেডিথ, জশ ফিলিপি, মিচেল স্টার্ক, মিচেল সোয়েপসন, অ্যাশটন টার্নার, অ্যান্ড্রু টাই, ম্যাথু ওয়েড, অ্যাডাম জ্যাম্পা।