দীর্ঘদিন পর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে চমক এসেছে। সম্মেলনের দীর্ঘ ২০ মাস পর ঘোষিত এ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ত্যাগী অনেক নেতার উত্তরসূরীরা। ফলে, কমিটি নিয়ে যশোরে আওয়ামী ঘরানার মানুষের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা চলছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের ২০ মাস পর শুক্রবার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংসদ। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির বাইরে আরও ১৯জন সিনিয়র নেতাকে উপদেষ্টা পদে রাখা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক পদে শাহীন চাকলাদারকে রেখে আংশিক অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহসভাপতি পদে রয়েছেন, আব্দুল মজিদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, সাইফুজ্জামান পিকুল, আব্দুল খালেক, বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী রায়হান, গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট জহুর আহমেদ, অ্যাডভোকেট এবিএম আহসানুল হক, মেহেদী হাসান মিন্টু ও এসএম হুমায়ুন কবীর কবু। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম লিটন ও মীর জহুরুল ইসলাম। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন এসএম আফজাল হোসেন, মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু। এছাড়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদের, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সেলিম রানা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আহমেদ কচি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুখেন মজুমদার, দপ্তর সম্পাদক মুজিবুদ্দৌলা কনক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুন্সী মহিউদ্দিন আহমেদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুদ্দিন সাইফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবির বিপুল ফারাজী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সেতারা খাতুন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এএসএম আশিফুদ্দৌলা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পদক শেখ আতিকুর বাবু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কাজী আব্দুস সবুর হেলাল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী বর্ণ উত্তম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার এমএ বাশার, উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লুৎফুল কবীর বিজু ও কোষাধ্যক্ষ মঈনুল আলম টুলু। সদস্য পদে রয়েছেন, স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি, কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, শেখ আফিল উদ্দিন এমপি, রণজিত কুমার রায় এমপি, মেজর জেনারেল অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন (অব.) এমপি, মোহিত কুমার নাথ, আলেয়া আফরোজ, ফিরোজা রেজা আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা শরীফ খাইরুজ্জামান রয়েল, এনামুল হক বাবুল, কৃষিবিদ আব্দুস সালাম, ফারুক হোসেন, সরদার ওলিয়ার রহমান, মেহেদী মাসুদ চৌধুরী, শওকত আলী, আসাদুজামান মিঠু, আসাদুজ্জামান আসাদ, মীর আরশাদ আলী, আনোয়ার হোসেন মোস্তাক, মোস্তফা আশীষ দেবু, প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন দিপু, কামাল হোসেন, অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, রফিকুল ইসলাম মোড়ল, মশিউর রহমান সাগর, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ, এহসানুর রহমান লিটু, গোলাম মোস্তফা, সামির ইসলাম পিয়াস, আলমুন ইসলাম পিপুল, অমিত কুমার বসু, নাজমা খানম, ভিক্টোরিয়া পারভিন সাথী, হুমায়ুন সুলতান ও মারুফ হোসেন খোকন। উপদেষ্টা পদে রয়েছেন, অ্যাডভোকেট মইনুদ্দিন মিয়াঁজি, নজরুল ইসলাম ঝর্ণা, অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, মাস্টার রুহুল আমিন, গোলাম মোস্তফা খোকন, জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, সৈয়দ ওসমান মঞ্জুর জানু, অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম, এসএম কামরুজ্জামান চুন্নু, গোলাম রসুল, প্রণব ধর, জয়নাল আবেদীন, নওশের আলী, মিজানুর রহমান মৃধা, অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন খান, আব্দুল মান্নান মিন্নু, মোবাশ্বের হোসেন বাবু, আহসান উল্লাহ মাস্টার ও সোলায়মান হোসেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতাদের মধ্যে পদ বণ্টন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।