পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ত্রুটিপূর্ণ একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে আবেদন দিয়েছে স্থানীয়ভাবে চাকরিপ্রার্থী কয়েক যুবক। উপজেলার পশ্চিম চরনী পত্তাশী রহিম উদ্দিন স্মৃতি দাখিল মাদ্রাসার তিনটি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানানো হয় ওই আবেদনে। এতে উল্লেখ করা হয় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০১৮ অনুযায়ী নবসৃষ্ট পদে একজন সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার, একজন নিরাপত্তাকর্মী এবং একজন আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে চলতি বছরের ৪ মার্চ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলাদেশ সময় এবং পিরোজপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের সমাজ পত্রিকায় ওই মাদ্রাসার সভাপতি এম এ কালামের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি দেন অত্র মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ আমিনুল ইসলাম। এর একদিন পর ৬ মার্চ আবারও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইনকিলাব এবং পিরোজপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের সমাজ পত্রিকায় একই পদে হুবহু আরেকটি বিজ্ঞাপন দেন মাদ্রাসার সুপার। অভিযোগকারীরা বিষয়টি জানার পর মাদ্রাসা সুপারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, ত্রুটিপূর্ণ ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে পুনরায় তারা পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিবেন। তাই তারা নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে আবেদন করা থেকে বিরত থাকেন। তবে ত্রুটিপূর্ণ বিজ্ঞপ্তিটি বাদ না দিয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এম এ কালাম ঢাকা থেকে তার গ্রামের বাড়িতে আসার পর ২০ জুলাই ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের তার বাড়িতে ডাকেন এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত দেন। এরপর তিনি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে আবারও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মাদ্রসায় মিটিং করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ঢাকায় অবস্থিত গুলশান কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ এম এ কালাম তার আপন ভাইয়ের এক ছেলেকে ওই মাদ্রসায় নিরাপত্তাকর্মী এবং আরেক নিকট আত্মীয়কে আয়া পদে নিয়োগ দিতে চাচ্ছেন। ওই দুই পদের জন্য তারা আবেদনও করেছেন। এদের মধ্যে নিরাপত্তাকর্মী পদে আবেদনকারী এম এ কালামের ভাইয়ের ছেলের বাড়ি মাদ্রসা থেকে ৫-৬ কিলোমিটার দূরে এবং আয়া পদে আবেদনকারীর বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলায়। ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ইন্দুরকানী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর এ কে এম আবুল খায়ের জানান লকডাউনের সময়ে সব ধরণের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এছাড়া অভিযোগের বিষয়টি তিনি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান। উল্লেখ্য এর আগে কঠোর লকডাউনের মধ্যে সরকারি বিধি অমান্য করে গত ২৪ জুলাই মাদ্রাসায় শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মিটিং করায় ওই মাদ্রসার সুপারকে কারন দর্শানো নোটিশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেছা খানম।