বাঙালিদের সবার বাড়িতেই সাদা লবণ ব্যবহার করা হয়। খুব কম মানুষই বিট লবণ বা কালো লবণ ব্যবহার করেন। অনেকেই জানেন না সাদা লবণের তুলনায় বিট লবণ তুলনামূলক শরীরের জন্য ভালো। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, বিট লবণ অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। বমি বমি ভাব, এসিডিটি বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা সহজেই দূর করে বিটলবণ।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে, বিটলবণ গ্যাসের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, অবসাদ এবং পেটসংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করতে পারে। প্রতিদিন সকালে গরম পানিতে বিট লবণ মিশিয়ে খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।
বিটলবণ ওজন কমাতে সহায়ক। এতে উপস্থিত খনিজগুলো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবেও কাজ করে। এ কারণে শরীরে উপস্থিত বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। কালো লবণে সোডিয়াম বেশি থাকে। শরীর সতেজ ও চনমনে রাখতে সাহায্য করে বিটলবণ। বিটলবণ হজমের উন্নতি করে এবং শরীরের কোষে পুষ্টি সরবরাহ করে, যা স্থূলতা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। বিট লবণ অনেক পুষ্টি এবং খনিজ সমৃদ্ধ। যদি এটি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে শরীরের হাড় মজবুত হবে। সুগারের রোগীদের সাদা লবণের পরিবর্তে বেশি করে বিটলবণ খাওয়া উচিত। বিটলবণ শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সুস্থ বোধ করবেন। সূত্র : জি নিউজ।