জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা যেন ভবিষ্যতে মাথা চারা দিয়ে না উঠতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। মঙ্গলবার ১৭ আগস্ট দুপুর ১২ টায় শহরের নিউমার্কেট মোড়ে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে একথা বলেন হুইপ আতিক। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক আরও বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টের এই দিনে জেএমবি সদস্যরা শান্তি প্রিয় বাংলাদেশকে অস্থিশীল করতে দেশব্যাপী একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে ছিল। সেই সাথে জঙ্গিরা পুরো দেশের মানুষকে আতংকিত করেছিল। এখনো সেসব জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সক্রিয়।।বিএনপি-জামাতের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়। তারা দেশ ও দেশের মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করে। তাই বিএনপি ও জামায়াতের জঙ্গিবাদকে এদেশের জনগন চিরদিনের জন্য প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জেলা আওয়ামী লীগ সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যানোদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড. চন্দন কুমার পাল পিপি। এসময় চন্দন কুমার পাল বলেন, সিরিজ বোমা হামলার মতো ঘৃণ্যতম ঘটনা বাংলার জমিনে অতীতে আর কখনো ঘটেনি। ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছিল। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম, শহর আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট আবুল কাশেম, পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ হায়দার আলী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শোয়েব হাসান শাকিল, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।