‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নাগরিক সুবিধা স¤প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে দেশের ইকো-সিস্টেমের উন্নয়ন এবং যুবকদের আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রযুক্তি নির্ভর সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পটি ইতোমধ্যেই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছিল। সারাদেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে যুব উন্নয়ন অধিদফতর। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২০৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্পের তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত আছে। ৬৪ হাজারটি বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন, খামার স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ জনের প্রশিক্ষণ প্রদান, কর্মশালা আয়োজন, ১২৫ কোটি টাকার রিভলভিং ক্রেডিট ফান্ড পরিচালনা করা এবং যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে। সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) সূত্রে জানায়, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যুবসমাজকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে যুবসম্পদে রূপান্তর করার লক্ষ্য রয়েছে। এই পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সেই হিসেবে এই প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম বলেন, প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব এবং জনমুখী। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের ৬৪টি জেলার সব উপজেলায় বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে রান্না ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে দেশের ইকো-সিস্টেমের উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। তাছাড়া, ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে খামার এবং বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনের ফলে গ্রামীণ যুবকদের আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।