শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন

আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন ভেড়ামারার কৃষকরা

সাইফুল ইসলাম ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১

আগামজাতের ফুলকপি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার কৃষকরা। বছরের পুরোটা সময় তারা ‘আগাম জাতের’ ফুলকপি চাষ করছেন। ফুলকপির ভরা মৌসুমে ভালো দাম না পেলেও অসময়ে ফুলকপি বিক্রি করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন তারা। তাই আগাম জাতের ফুলকপির দিকেই ঝুঁকছেন চাষিরা। ধানসহ অন্যান্য ফসলে চাষিরা যখন লাভের পরিবর্তে লোকসানের মুখ দেখছেন, তখন আগাম ফুলকপি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন ভেড়ামারা উপজেলার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় উপজেলার কৃষকরা আগাম জাতের এ ফুলকপি চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছেন। ভেড়ামারার উত্তর রেলগেইট এলাকার কৃষক মিন্টু মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, ধান-গম চাষ করে আমরা খুব একটা লাভবান হতে পারিনি। ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হয়। তাই ফুলকপি চাষ করছি। শীতকালে ফুলকপির ভরা মৌসুমে দাম একটু কম হয়। তবে অন্য সময়ে বেশ ভালো দাম পাওয়া যায়। তাই আমরা সারা বছরই এখন ফুলকপি চাষ করছি। বিক্রিরও তেমন ঝামেলা নেই। মাঠ থেকেই আগাম পাইকারি ক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, তিনি এছর দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপির চাষ করেছেন। বিঘায় প্রায় ৬ হাজারের মতো গাছ রয়েছে। খরচ হয়েছে বিঘাপ্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা। বাজারে এখন যে দাম রয়েছে তাতে আমি বিঘাপ্রতি ৬০-৭০ হাজার টাকা পাবেন বলে আশা রাখেন। একই এলাকার আরেকজন কৃষক সুরুজ আলী। তিনি উপজেলার হিসনাপাড়া মাঠে ৪ বিঘা জমিতে ফুলকপি আবাদ করেছেন। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় ফুলকপি চাষ অধিক লাভজনক। জমি থেকেই পাইকারী ক্রেতারা ৩০-৩৫ টাকা কেজি করে ফুলকপি কিনে নিয়ে যায়। প্রায় এক বিঘা জমিতে ৬০-৭০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। তিনি জানান, এর আগে দেখা যেত শীতকালে জমিতে ফুলকপির চাষ হতো। সে সময় ভালো দাম পাওয়া যেতো না। কৃষি অফিসের পরামর্শে আমরা এখন সারা বছর ফুলকপির চাষ করি। তিনি আরও জানান, এখানকার ফুলকপি ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও সিলেটে রপ্তানি করি। এছাড়া স্থানীয় হাট-বাজার ও কুষ্টিয়া শহরেও বিক্রি করি। ধান, গম, ভুট্টা, আলু, পেঁয়াজের তুলনায় অধিক লাভ এই আগাম ফুলকপিতে। তাই এই অঞ্চলের মানুষ এখন ফুলকপি চাষে ঝুঁকছে। ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ শায়খুল ইসলাম দেশকে জানান, ভেড়ামারা উপজেলার এই অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি সবজি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এছাড়া কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই অঞ্চলের মানুষ আধুনিক চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। চাষিরা আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। ফলে তারা ফুলকপি চাষের দিকে ঝুঁকছেন। সাধারণত শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবী মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়। এছাড়া গ্রীষ্মকালেও চাষের উপযোগী জাত রয়েছে। তিনি আরো জানান, এলাকায় ক্যাপটেন, সুদর্শন ও মার্বেল জাতের ফুলকপি আবাদ হচ্ছে। ফুলকপি আবাদে অধিক যতœ নিতে হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com