এবারের ঈদে প্রচারিত হওয়া নাটকগুলোর মধ্যে ‘আলো’ শিরোনামের নাটকটি দর্শকমহলে বেশ প্রশংসা পায়। অভিনেত্রী মেহ্জাবীন চৌধুরীর নিজের লেখা এ গল্পের বিষয়বস্তু ছিলো নারী পুলিশদেরকে কর্মের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়া এবং তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। মাহমুদুর রহমান হিমি পরিচালিত এ নাটকটিতে গল্পের নারী ট্রাফিক পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেন মেহু নিজেই। নাটকটি দর্শক প্রশংসা পাওয়ার সাথে সাথে প্রশংসা পেলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কতৃপক্ষের। শুধু তাই নয়, এমন প্রশংসনীয় কাজের জন্য মেহ্জাবীন ও তার টিমকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপিতে আমন্ত্রণ জানায় তারা এবং সেখানে মেহ্জাবীন ও তার টিমকে সম্মাননা প্রদান করে। এসময় মেহ্জাবীনের হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেন আমেনা বেগম (ডিএইজি , ডিএমপি স্পেশাল ব্রাঞ্চ)।
এমন সম্মাননায় উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত মেহ্জাবীন চৌধুরী বলেন, যাদের জন্য আমরা কাজ করি, তাদের কাছ থেকে সমর্থন, উৎসাহ এবং ভালোবাসা পাওয়াটা আমাদের জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যারা জড়িত, বিশেষ করে এ পেশায় নিয়োজিত নারী পুলিশদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান থেকে ‘আলো’ নাটকটি লিখেছিলাম। তখনো ভাবিনি যে এই নাটকটি সাধারণ দর্শকদের ভালোবাসা অর্জনের পাশাপাশি যাদের জন্য লেখা, তাদের মনকেও এত বেশি স্পর্শ করবে। আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগকে এতটা ভালোবাসা দেয়ার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর সবার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা প্রদানের জন্য আরও ধন্যবাদ জানাই আমেনা বেগম স্যারকে। সেইসাথে ধন্যবাদ এই নাটকের পরিচালক মাহমুদুর রহমান হিমি, সহ-অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক ভাই সহ সকল শিল্পী-কলাকুশলীদের; যারা এই সাফল্যের পেছনে নিজেদের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময়েই মাথায় অনেক গল্প ঘুরে, কিছুদিন আগে নারী পুলিশদের নিয়ে এই ভাবনাটি আমার মাথায় আসে। তারপর চিন্তা করি যে, এখানে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে যদি বার্তা দেওয়া যায় তাহলে তো মন্দ হয় না। সেই ভাবনা থেকেই এই গল্পটি লিখা। সবার এমন ভালোবাসা ও সম্মানে আমি সত্যি অনেক বেশি আনন্দিত।