সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন

পাহাড়ি ঢালুর সাথে জলরাশির উপরূপ সৌন্দর্য পর্যটন স্পট পরিদর্শনে ইউএনও

কাইছার হামিদ মহেশখালী :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১

কক্সবাজারেরর মহেশখালী উপজেলার পর্যটন শিল্প বিকাশে সম্ভাবনাময় নব দর্শনীয় ¯’ান শাপলাপুর মিঠাছড়ি ধুইল্যাঝিরি পাহাড়ী ঢালু উপজেলার শাপলাপুর-কালারমারছড়া ইউনিয়নের মধ্যখানে ঘেঁষা পর্যটন স্পট ধুইল্যা ঝিরি পাহাড়ি এলাকা। দদু’পাহাড়ের মাঝখানে বয়ে যাওয়া জলরাশির আঁকাবাঁকা লেকের মতো উপরূপ ছড়ায়। উপরদিকে দেখা মিলে আকাশ ছোঁয়া পাহাড়। সব মিলিয়ে এ পাহাড়টি পর্যটকদের কাছেও বেশ পরিচিত হয়ে উঠছে দিন দিন। অতিমধ্যে এ জলরাশি ভ্রমণ পিপাসুদের মধ্যে দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। পাহাড়-লেক এই অপরূপ সান্নিধ্য পেতে এখন শাপলাপুর ছুটে যা”েছন ভ্রমণপিপাসুরা। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পট মহেশখালীর ধুইল্যা ঝিরি পাহাড় শিরোনামে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে(৩০) আগষ্ট সোমবার বিকাল ৪ টার সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে এএসপি (সার্কেল) মোঃ জাহেদুল ইসলাম, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হাই, ওসি (তদন্ত) আশিক ইকবাল, মহেশখালীতে দায়িত্বরত বনবিভাগের এসিএফ মোঃ সাদেকুর রহমান, শাপলাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক চৌধুরী, কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমার শরীফ, শাপলাপুর বনবিট কর্মকতা রাজিব ইব্রাহিম প্রমূখ। পর্যটন স্পট বিকাশের অপূর্ব সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ওই সময় ইউএনও মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, দৈনিক খবরপত্র এবং অন্যান্য পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে উক্ত পর্যটন স্পটের সন্ধান মেলে। আর পাহাড়, লেক বেষ্টিত এই পর্যটন স্পটকে ভ্রমণের নিরাপদ ও আকর্ষণীয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে যদি বনবিভাগের পক্ষ থেকে জায়গা দেওয়া হয়। শাপলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক চৌধুরী বলেন, ‘সবুজেঘেরা শাপলাপুর পাহাড়বেষ্টিত আকর্ষণীয় এ পর্যটন স্পটটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং সরকার প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক রাজস্ব পাবে। অপরদিকে তার নির্বাচনি এলাকায় সংবাদকর্মীদের প্রচেষ্ঠায় এই লেকটির সন্ধান পাওয়ায় তাঁদের ভালবাসা ও ধন্যবাদ জানান। কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক শরীফ বলেন, এদিকে নয়নাবিরাম সবুজেঘেরা পাহাড়ি এলাকাটি পর্যটন স্পট হিসেবে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি ওই এলাকার মানুষের কর্মসং¯’ান এবং তারা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি লাভ করবে। এছাড়া ও পাহাড়ের উঁচুনিচু ঢিলে যেন সবুজ গালিচায় ঢেকে দেওয়া হয়েছে। অপূর্ব এই দৃশ্যে যে কারোর চোখ আটকে যাবে। পাহাড় আর সড়কের মিতালী যেন এক রোমাঞ্চকর ভ্রমণের মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে ¯’ানিয়দের নিকট এবং এ স্পটে সরাসরি কালারমারছড়ার সাথে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। তিনি এই পর্যটন স্পটের বাস্তব চিত্র গণমাধ্যমে তুলে পরিচিত লাভ করায় সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান। মহেশখালীতে দায়িত্বর বনবিভাগের এসিএফ বলেন, পাহাড় আর লেক থাকায় জায়গাটি সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দিন দিন। সে হিসাবে বনবিভাগের জায়গা যেহেতু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অতি শীঘ্রই অবহিত করে এ দর্শনীয় পর্যটন জোনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চেষ্টা থাকবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com