মহামারী করোনাভাইরাসের মাঝে সরকার গার্মেন্টস-দোকানপাট খুলে দিয়ে মহামারী বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, মানুষের কি হবে সরকার সে চিন্তা না করে লকডাউন খুলে দিয়েছে। দোকানপাট খুলে দিয়েছে। চার মাস মানুষকে খাওয়ানো যেত। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেত। কিন্তু সরকার ওই দিকে যায়নি। সরকারের টাকা দরকার। মানুষের জীবন বেঁচে থাকা সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। লকডাউন খুলে দেয়ায় সারাদেশে গণসংক্রমণ হচ্ছে। গণসংক্রমণ রোধ করা যেত। সরকার তা না করে মহামারী আরও বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
রোববার (১০মে) সকালে রাজধানীর বাড্ডায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এমএ কাইয়ূমের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকলে, জনসমর্থন না থাকলেই সরকার মানুষের বেঁচে থাকার পরোয়া করে না। মানুষ বাঁচল কি মরল এটি সরকার দেখবে না। তাদের টাকা দরকার। টাকাই সব। এই টাকা দিয়ে কয়েকটি ফ্লাইওভার তৈরি করে উন্নয়ন দেখাতে চায়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজকে হাসপাতাল কই, স্যানিটাইজার তৈরি করেন না কেন? ডাক্তার মারা যাচ্ছে, যারা সেবা দিচ্ছে, তারা মারা যাচ্ছে; তা হলে সরকারের উন্নয়ন কোথায়? সরকারের উন্নয়নের টাকা ক্যাসিনো থেকে পাওয়া যায়। বস্তা বস্তা টাকা পাওয়া যায় যুবলীগের নেতাকর্মীদের কাছে। এটিই হলো সরকারের উন্নয়ন।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের ত্রাণ পাই না। তার পরও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ত্রাণ বিতরণ করছি। সারাদেশে ১৩ লাখ পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা করা হয়েছে। এটিই হলো বিএনপি। বিএনপি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে।
রংপুর-কুড়িগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থানে মানুষ খাদ্যের জন্য বিক্ষোভ করছেন। ত্রাণের ট্রাক আটকে দিচ্ছে, লুট করছে। কখন মানুষ এই কাজ করে, যখন পেটের মধ্যে খুদায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে। এ রকম পরিস্থিতিতে মানুষের টাকায় কেনা ত্রাণ গরিব অসহায় মানুষকে না দিয়ে আওয়ামী লীগের লোকেরা আত্মসাৎ করছে।
এমআর/প্রিন্স