ময়মনসিংহ ধোবাউড়া উপজেলায় ১নং দক্ষিন মাইজ পাড়া ইউনিয়নটি সীমান্তবর্তী এলাকা। যেখানে দারিদ্র খেটে খাওয়া শ্রমিকের সংখ্যায় বেশি এই উপজেলায়। তারই সুযোগে স্থানীয় অসাধু চক্রের সহায়তায় এক শ্রেণীর প্রভাবশালী মহল ক্ষমতার দাপটে প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়ায় অবৈধ ভাবে কেটে ধ্বংস করছে এই ডিজিটাল বাংলাদেশের মুল্যবান এই খনিজ সম্পদ সাদামাটির পাহাড়। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে। স্থানীয় এলাকাবাসী এই অবৈধ ভাবে সাদা পাহাড় কাটা বন্ধ করে মুল্যবান খনিজ সম্পদ রক্ষার করার জোড়ালো দাবী জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিন ম্ইাজ পাড়া ইউনিয়নের। ভেদীকুড়া গ্রামের মুনসাপাড়া পুটিমারী নামক স্থানে অপরুপ সুন্দর এই সাদামাটির পাহাড়।খনন ও লুটপাটের ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে এই সিরামিক্স সাদা মাটির পাহাড়।আর এই সাদা মাটির পাহাড় কেটে কেটে গর্ত করে গভীরে যেতে যেতে আজ ধ্বংস লীলায় পরিনত হয়েছে। জানাযায় খনিজ সম্পদ ব্যুরো থেকে বার হাজার বস্তার অনুমোদন এনে স্থানীয় প্রভাব শালী মহলের সহায়তায় লক্ষ লক্ষ মেঃটন সাদা মাটি বস্তায় করে প্রশাসনের সামনে দিয়েই নিয়ে যাচ্ছে। গত ৩ আক্টর থেকে হিসাব ছাড়া তদারকি ছাড়াই অবাধে বের হচ্ছে চিনামাটি। ময়মনসিংহ জেলা চিনা মাটি উত্তোলন বিপন্ন মনিটরিং কমিটি সরজমিনে চিনামাটি পাহাড়ে গিয়ে উত্তোলিত চিনা মাটির পরিমাপ গ্রহন করে। এতে বার হাজার বস্তার ডিও দেখানো হয়, যেখানে রয়েছে কয়েক লক্ষ বস্তা। মুল্যমান খনিজ সম্পদ রক্ষা না করে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর উপ-পরিচালক মোঃ মামুনুর রশীদ নিজে উপস্থিত থেকে পরিমাপ গ্রহন করেন। অনেকেই মন্তব্য করেন রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে দেশ চলবে কিভাবে। কিছুদিন পাহাড় কাটা বন্ধ থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের চরম গাফিলিতির কারনে পুনরায় মাটি কাটা ও উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়।স্থানীয় মজিবুর রহমান সহ আরও অনেকেই অত্যান্ত দুঃখের সাথে জানান “লাঠি যার মাটি তার”ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘদিন যাবৎ উওোলন করে আসছে। মেসার্স বাংলাদেশ এগ্রো সিরামিক কোম্পানীর মালিক গোলাম কিবরিয়া তপন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই পরিবেশের ১২ টা বাজিয়ে পাহাড় কেটে সাদামাটি উত্তোলন করছে। এ ব্যাপারে গোলাম কিবরিয়া তপন বলেন। পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি তবে মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশনা মেনেই সাদা মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। অন্যদিকে মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ থাকা সত্তেও মাটি উত্তোলনের পর বড় বড় গর্তগুলি বন্ধ করা হচ্ছেনা। এসব অরক্ষিত ৩০ থকে ৪০ফুট গভীর গর্তে যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটা ঘটার আশংকা বিরাজমান। অভিযোগ রয়েছে প্রায় এক বছর পুর্বে হাইকোর্টে একটি রিটের প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তের ছাড়পত্র ছাড়াই মাটি উত্তোলনের নির্দেশনা পেয়ে উক্ত কম্পানীটি সকল শর্ত ভঙ্গ করে পাহাড় কেটে সাদামাটি উত্তোলন করছে। রহস্য জনক কারনে পরিবেশ অধিদপ্তর রিটের বিরুদ্দে কোন আপিল না করে নিরব ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। এলো মেলো ভাবে পাহাড় কাটার ফলে, একদিকে যেমন পাহড়ের প্রাকৃতিক ভারশাম্য নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে পর্যটন নগরীর আপার সম্ভাবনাটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অপরুপ সৌন্দর্য ভরা সাদা গোলাপি সহ নানা বর্ণের এই সাদা মাটির পাহাড়টিতে জরিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের সুন্দর্য যে কোন পর্যটকের দৃষ্টি কেড়ে নিবে। এছাড়া এই পাহাড়ের পাশেই রয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। ইতি মধ্যে অনেক পাহাড় কেটে বিলীন করা হয়েছে, এখনও চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জান বলেন অনুমোদন দেওয়ায়। ডিওর বাহিরে একটি মাটির বস্তাও নিতে দেওয়া হবেনা। তিনি আরও বলেন ইতিমধ্যে তিনি স্থানীয় মনিটরিং কমিটিকে ডিও অনুযায়ী মাটি নেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।এ বিষয়ে দক্ষিন মাইজ পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন ইউনু হচ্ছে এ প্রজেক্টের সভাপতি আমার এখন পযন্ত ডিও কপি দেইনি।