এ বছরের শুরুর দিকে পরবর্তী প্রজন্মের অপারেটিং সিস্টেম ‘উইন্ডোজ ১১’ উন্মোচন করে মাইক্রোসফট। এরপর পরীক্ষামূলকভাবে এটি উইন্ডোজ ইনসাইডার এবং ডেভেলপারদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। আর এবার সাধারণ ব্যবহারকারীরা নতুন এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা পেতে যাচ্ছে। আগামী ৫ অক্টোবর উইন্ডোজ ১১ রিলিজের তারিখ নির্ধারণ করেছে মাইক্রোসফট। বিনামূল্যে আপগ্রেড সুবিধা দেওয়া হবে বলে এক ঘোষণায় জানিয়েছে টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি পরবর্তী প্রজন্মের এই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে প্রি-লোডেড পিসিও মার্কেটে সবার জন্য উপলব্ধ হবে। মাইক্রোসফটের ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের জন্য অক্টোবরের ৫ তারিখ থেকে বিনামূল্যে উইন্ডোজ ১১ রোলআউট শুরু করা হবে। শুরুতে কেবল আপগ্রেডের জন্য উপযুক্ত ডিভাইসগুলোর জন্য উইন্ডোজ ১১ উন্মুক্ত করা হবে। নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট পাওয়ার ক্ষেত্রে পিসিতে অবশ্যই ৬৪-বিট ১ গিগাহার্জ প্রসেসর বা আরো উন্নত প্রসেসর, ন্যূনতম ৪ জিবি র্যাম, ৬৪ জিবি স্টোরেজ থাকা লাগবে। এছাড়া ডিরেক্টএক্স ১২ গ্রাফিক্স ও টিপিএম ২.০ সাপোর্টেড হতে হবে। ২০২২ সালের মাঝামাঝির সময়ের মধ্যে উপযুক্ত সকল ডিভাইসে উইন্ডোজ ১১ পৌঁছে যাবে।
আপনার উইন্ডোজ ১০ পিসিতে এই কনফিগারেশনের হয়ে থাকলে, সেটিংসে গিয়ে উইন্ডোজ আপডেট অপশন খুঁজতে হবে। তারপর আপডেটের জন্য চেক করে দেখতে হবে। যদি আপডেট আসে, তাহলে আপডেট ডাউনলোড করে তা ইনস্টল করে নিতে হবে।
উইন্ডোজ ১১ নতুন স্টার্ট মেন্যু, টাস্কবারে মাইক্রোসফট টিমস, নতুন উইজেটস, নতুন ডিজাইনের ইন্টারফেস ছাড়াও আরও অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। তবে প্রথম আপডেটে সব নতুন ফিচার একসঙ্গে থাকবে না। এক এক ধাপে আপডেট আসবে এবং নতুন নতুন ফিচার সংযোজন হতে থাকবে।
উইন্ডোজ ১১-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার হলো, এতে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। বহুল প্রতীক্ষিত এই ফিচারটিও প্রথম আপডেটে থাকছে না। আপনার পিসি যদি উইন্ডোজ ১১ আপগ্রেডের উপযুক্ত না হয়, তাহলেও সমস্যা নেই। ২০২৫ সালের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত উইন্ডোজ ১০ পিসির জন্য সাপোর্ট অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। যদিও উইন্ডোজ ১১ রোলআউটের পরে উইন্ডোজ ১০ কতগুলো বড় আপডেট পাবে তা স্পষ্ট নয়। তবে এ বছরের শেষের দিকে একটি ২১এইচ২ আপডেট আসবে বলে জানা গেছে।