টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের ৪নং ভাতকুড়া এবং দড়ির চন্দ্র বাড়িচর পাড়া গ্রামের বৈরাণ নদীর উপর নির্মিত ভাতকুড়া সেতু ভেঙে পড়ায় এতে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেতুটি ভেঙে পড়ায় দুই পাশের মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে ভেঙে পড়ার পর থেকেই নানা মহল থেকে আশ্বাস-প্রশ্বাসের শেষ ছিল না মিলেনি কোন সুফল। গতকাল জনগণের দুর্ভোগের কথা ভেবে নৌকা উপহার দিয়ে এগিয়ে আসেন পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী “আরশেদ আলী রাসু “ তিনি বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ায় দু’পাশের মানুষ একেবারেই অসহায় হয়ে পড়েছে, বিষেস করে দীর্ঘদিন করোনা মহামারীর কারনে সকল ইস্কুল, কলেজ বন্ধ ছিল। মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী সরকারি বিধি নিষেধ মেনে স্কুল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ১২ তারিখ থেকে শুরু হবে ক্লাস বিশেষ করে তাদের কথা ভেবেই আমার এই উদ্যোগ গ্রহণ করা কারণ তারা শিক্ষিত হলেই দেশ ও জাতি উন্নত হবে। তবে পাইস্কা ইউনিয়ন বাসী আমাকে যদি দলবল নির্বিশেষে আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন আমি তাদের সেবক হয়ে তাদের পাশে থাকবো তাদের পাশে থেকে তাদের সেবা করবো।
ক্ষমতার উচ্চবিলাসী গতানয় সেবক হয়ে থাকতে চাই পাইস্কা ইউনিয়ন বাসীর কাছে। এলাকার স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সেতুটি দেবে যায়। দেবে যাওয়া সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে মানুষ চলাচল করাছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে সেতুটি ভেঙে পড়েছে। এতে সব ধরনের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ২০১৮ সালে এডিবির অর্থায়নে ধনবাড়ী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বৈরাণ নদীতে নির্মিত সেতুর পূর্ব পাড়ে ভাতকুড়া পশ্চিম পাড়ে দড়িচন্দ্রবাড়ী গ্রাম। দুই পাড়ের কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে চলাচল করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার প্রভাবশালী গোষ্ঠী সেতুএলাকার বালু বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। তারা সেতুর কাছ থেকে বালু উত্তোলন করায় সেতুর সংযোগসড়ক ও গাইডবাঁধে ক্ষতি হয়। বন্যার পানির স্রোতে দুটি পিলার আলগা হয়ে সেতুর একটা অংশ দেবে যায়। নদীর খনন কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পানি উনয়ন বোর্ড বৈরাণ নদী খনন করে। খনন করা নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে সেতুটি ঝুঁকিতে পড়ে। ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ বজলু বলেন, জনস্বার্থে দ্রুত বিকল্প কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় কী না সেটা ভাবছি। ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন সাগর সাংবাদিকদের বলেন, সেতুটি পুরাতন হয়ে গিয়েছিল। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে এডিবির অর্থে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় ব্রিজটি নির্মিত হয়েছিল। তাছাড়া অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অবশেষে ভেঙে পড়ে যায়।