সাড়ে তিনশ বছরের প্রাচীনতম উপমহাদেশের অন্যতম সনাতন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দয়াময়ী মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে রাখা সুবল চন্দ্র দে’র উচ্ছেদের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে দয়াময়ী মন্দির পরিচালনা পরিষদ। সমবার দুপুরে জামালপুর দয়ামীয় মন্দিরে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্দির পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, রাজা কৃষ্ণ রায় চৌধুরী দয়াময়ী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং মন্দির পরিচালনার জন্য ৫ হাজার একর জমি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে দান করেন। সেসময় থেকে মন্দির পরিচালনার জন্য খাজনা আদায় এবং পূজা-অর্চনার জন্য পুরোহিত, কর্মচারী, মালি, ঢাকিদের মন্দিরের পাশেই বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। সুবল চন্দ্র দে’র পিতা বীরেশ্বর চন্দ্র দে মন্দিরের তফিলদার হিসেবে অন্যান্য কর্মচারীদের মত তফিলদারের নির্দিষ্ট ঘরে বসবাস করতেন। তার মৃত্যুর পর মন্দিরের অনুমতি নিয়ে তার স্ত্রী সুধা রানী দে তফিলদারের কাজ করার শর্তে সেই ঘরে বসবাসের অনুমতি নেন। কিন্তু তার ছেলে সুবল চন্দ্র দে ভুয়া কাগজ তৈরী করে মন্দিরের কর্মচারীদের বসবাসের জায়গাটি তাদের বলে রাষ্ট্রকে বিবাদীসহ একাধিকবার মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। প্রতিটি মামলায় আদালত ওই সম্পত্তি দয়াময়ী মন্দিরের বলে রায় দেয়। কিন্তু একাধিক রায়ের পরও অবৈধ দখলদার সুবল চন্দ্র দে জায়গাটি ছেড়ে না দিয়ে নানা রকম হয়রানির অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাই মন্দিরের সম্পত্তি অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দয়াময়ী মন্দির পরিচানা পরিষদের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক দিদ্ধার্থ সংকর রায়, অজয় কুমার পাল প্রমুখ।