কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ৭টি স্টপে ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রতিরোধে কাজ করছে। এর মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আগে ভাগে ভাঙন ঠেকানো কাজ শুরু করায় কিছুটা স্বস্তিতে এলাকাবাসী। জানা গেছে, কুড়িগ্রামে দরিদ্রতার হার সবচেয়ে বেশীর অন্যতম কারণ হচ্ছে ভাঙন। ভাঙন কবলিত মানুষের দুর্দশা আর আর্তনাদের অন্ত নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামের মানুষের কষ্ট ঘুচাতে ভাঙন রোধে একনেক বৈঠকে তিন মার্চ ২০২০সালে ৫৯৫কোটি টাকা ব্যয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প অনুমোদন হলেও প্রকল্পের জিও জারী হয় জুলাই ২০২০সালে। নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২৬জুন ২০২২সালে। বর্তমানে ধরলা নদী শাসনে ৩৮টি প্যাকেজে প্রায় ২৮টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় সোনাইকাজী,বাংটুরঘাট, মোগলবাসা, হিমেরকুটি ও শিবেরকুটি, ভোগডাঙ্গা, সারডোব নদীর ভাঙন রোধে কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন চলছে। নতুন করে ভোগডাঙ্গায় ৩কিলোমিটার ও পাঁচগাছীতে ৩কিলোমিটার কাজে ধরলা ভাঙন রোধে কাজ চলমান। ফলে নদীতীরের মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা পাড়ের সলিমুদ্দিন, রহিমা, আফজাল হোসেন জানান, আমরা বেশ কয়েকবার নদী ভাঙনের শিকার। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় জিও বস্তা ফেলার আমরা এখন ভাঙন থেকে মুক্ত আছি। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর ডান বামতীর সংরক্ষণ ও বাঁধ নির্মাণের কাজ বিধি মোতাবেক চলমান রয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছি। করোনা মহামারি সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা নদী ভাঙন রোধে কাজ করছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। একনেকের দুধকুমার নদী বস্থাপনা ও উন্নয়ন অনুমোদিত প্রকল্পে ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ শুরু হবে।