রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন

বিসিসি’র সড়কগুলোর বেহাল দশা, ভোগান্তিতে নগরবাসী

শামীম আহমেদ বরিশাল প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বরিশাল নগরের বর্ধিত অঞ্চলের ছোট-বড় বহু সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার কারণে এসব সড়ক নাগরিকদের ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়িয়েছে। তবে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) বলছে, গুণগত মান নিশ্চিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন রাস্তার সংস্কার কাজ করা হয়েছে। কিছু সড়কের সংস্কার চলমান রয়েছে, আর বাকিগুলোর কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নগরবাসীকে এমন আশ্বাসই দিয়ে বলেছেন, নিজস্ব সম্পদ আর আয় দিয়েই সিটি করপোরেশনকে চালিয়ে নিতে হচ্ছে তাকে। এজন্য একসঙ্গে সব রাস্তার কাজ শুরু করতে পারেননি, পর্যায়ক্রমে সব রাস্তার কাজই শেষ করবেন। যে টুকু কাজ করা হয়েছে তাতে গুণগত মান ও স্থায়িত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। নগরবাসীর দাবি, সম্প্রতি সড়ক উন্নয়ন কাজের ধীরগতি ও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের ছোঁয়া না পাওয়ায় অনেক সড়ক নিয়ে হতাশায় রয়েছে তারা। এছাড়া শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো সংস্কার ও পুন:নির্মাণের মধ্য দিয়ে নির্বিঘেœ চলাচলের উপযোগী করা হলেও মূল শহরের পার্শ্ববর্তী ছোট-বড় অনেক সড়কেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বর্তমান পরিষদের মেয়াদে গত কয়েক বছরে বরিশাল শহরে যেটুকু রাস্তার কাজ হয়েছে তার মান ভালো হয়েছে। বিশেষ করে নগরের আমতলার মোড় থেকে জিলাস্কুল মোড় হয়ে কাকলীর মোড়, আবার কাকলীর মোড় থেকে জেলখানার মোড় হয়ে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের পর গত কয়েক বছরে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি নগরবাসীকে।
নগরের মতাশার এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, আদি শ্মশান থেকে মতাশার বাজারের আধা কিলোমিটর (যে জায়গা থেকে সদর উপজেলার শুরু) আগ পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। পিচ-পাথর উঠে গিয়ে ইটের লালচে রঙ দেখা যাচ্ছে খানাখন্দে। সেই সঙ্গে আশপাশের ছোট ছোট সড়কগুলোরও পিচ-পাথর উঠে গেছে। এতে ওই সড়কগুলো দিয়ে চলাচলরত মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা সবুজ মিয়া ও কালাম সরদারসহ অনেকে বলেন, পলাশপুর ব্রিজের ঢাল থেকে পোর্টরোড ব্রিজের ঢাল পর্যন্ত সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীসহ সদর উপজেলার চরমোনাই, চরআবদানি, শহরের বেলতলা, পলাশপুর, রসুলপুর, কলাপট্টি এলাকার মানুষজন চলাচল করেন। এই সড়কের পুরোটাই বড় বড় গর্তে ভরে গেছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। নগরীর নবগ্রাম রোড এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সি অ্যান্ড বি ১ নম্বর পুল থেকে টিয়াখালি হয়ে নবগ্রাম রোড পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুর পর এই সড়ক সংস্কারে আর কেউ উদ্যোগ নেয়নি। আবার জিয়া সড়ক, শের-ই-বাংলা সড়কসহ ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট-বড় বেশকিছু সড়কেরও বেহাল দশা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com