গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ২০২৩ সালের নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে খেলা দেখানোর পাঁয়তারা করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের অধীনে হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই এ ব্যবস্থা করতে হবে। যদি তিনি ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনের নতুন খেলা শুরু করেন তাহলে কঠিন খেসারত দিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারের বিদায় হবে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বরিশালের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করা এবং জনগণের ওপর এ রকম একটা জবরদস্তির শাসন যেন আবারও চেপে বসতে না পারে সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা ছোট দল হতে পারি। কিন্তু আমাদের নৈতিক শক্তি অনেক বেশি। বিএনপির নৈতিক শক্তি নেই বলেই তারা আন্দোলন-সংগ্রামে পিছিয়ে আছে। কিছু দল আছে যারা ভাবেন আওয়ামী লীগের পতন হলে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। এ যুক্তি দেখিয়ে তারাও আন্দোলন সংগ্রামে নামছেন না। এ সুযোগে ২০২৩ সালের নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রে পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যুক্ত হলে তাদের জনগণের গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ফ্যাসিস্ট কায়দায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের ওপর অত্যাচার চালিয়ে ক্ষমতায় আছে। এ সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।