শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কিডস ক্রিয়েশন টিভিতে চলছে শিশুদের নিয়ে কুইজ কম্পিটিশন ‘জিনিয়াস কিডস’ মার্কিন নতুন প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক আরো বাড়বে : নজরুল ইসলাম একাত্তরে আ’লীগ মানুষকে বন্দুকের মুখে রেখে পালিয়েছিল, চব্বিশেও তাই করেছে : মঈন খান ১৮,০০০ ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন জাতীয় ঐক্য গড়তে বিএনপির সঙ্গে খেলাফত মজলিসের বৈঠক বিধবংসী আগুন তুরস্কের রিসোর্টে, নিহত কমপক্ষে ৬৬ জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল, সংবিধানের বিপরীতে হাঁটছেন ট্রাম্প ওষুধ-রেস্তোরাঁ-মোবাইলে ভ্যাট বাড়ছে না ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসে’ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস

হিলিতে ১০ বছরের মেধাকে নিয়ে বিপাকে হতদরিদ্র বাবা-মা

মোসলেম উদ্দিন হিলি (দিনাজপুর) :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দিনাজপুরের হিলির বৈগ্রাম গ্রামের ১০ বছরের মেধা মনিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাবা ইলিয়াস আলী ও মা মেহের বানু। শিশুকন্যাটির যত বয়স বাড়ছে ততই চিন্তা ভাবনা বাড়ছে অসহায় ও হতদরিদ্র এই বাবা-মায়ের। অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করতে পারছেন না তারা শিশুটির। প্রায় ৬ বছর আগে মেধার বয়স তখন ৪ বছর। মায়ের কোলে বসে মেধা মায়ের বুকের দুধ পান করছিলো। এমন সময় প্রতিবেশী একজন মহিলা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের শরীরে গরম দুধ ছুড়ে ফেলে। গরম দুধে মেধা মনির কচি শরীরের ডান পাশের কান থেকে কোমড় পর্যন্ত ঝলসে যায়। পরে হিলি হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করে, দীর্ঘদিন চলে তার চিকিৎসা। তার চিকিৎসায় সংসারে যা ছিলো তা সব শেষ করেন হতদরিদ্র দিনমজুর বাবা ইলিয়াস আলী। চিকিৎসায় শরীরের ঘা শুকিয়ে গেলেও ক্ষত স্থানগুলো শক্ত ও জড়ো হয়ে গেছে, তবে শিশুটির বর্তমান ক্ষত স্থানেগুলোতে জ্বালা-যন্ত্রনা করে। তার উপর সে মেয়ে মানুষ, কোমড় থেকে গলা আর গাল বিকট আকার ধারণ করেছে। চিকিৎসক বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে মেধার ক্ষত স্থানগুলো স্বাভাবিক হবে, প্লাস্টার সার্জারি করতে হবে। তবে এটা একটি ব্যয় বহুল চিকিৎসা। বাবা ইলিয়াস আলী একজন দিনমজুর, মানুষের বাড়িতে দিনহাজরা হিসেবে কাজ করেন। দিন শেষে যা মজুরি পান তা দিয়ে কোন রকম চলে তাদের সংসার। সংসারে ইলিয়াস আলী দুই মেয়ে, মেধা মনি ছোট এবং বড় মেয়ে সাবিনা। সাবিনা বগুড়ায় নার্সিংয়ে লিখাপড়া করে। দিনমজুর বাবা একবুক আশা আর স্বপ্ন নিয়ে বড় মেয়েকে নার্সিং করাচ্ছেন। খেয়ে না খেয়ে তারা সাবিনার লিখাপড়ার খরচ জোগাড় করেন। এদিকে ছোট মেয়ে মেধার শরীরের বড় সমস্যা, মেয়ে মানুষ, বড় হবে, তাকে ভবিষ্যতে বিয়ে শাদী দিতে হবে। এমন শারীরিক অবস্থা থাকলে পরবর্তীতে শিশুকন্যা মেধা মনির কি হবে? এমন নানান চিন্তায় আজ হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন বাবা-মা। উন্নত চিকিৎসার জন্য, মেয়েকে স্বাভাবিক জীবন দিতে প্রয়োজন অনেক টাকা, এতো টাকা কোথায় পাবে হতদরিদ্র বাবা-মা। তাই সন্তানের জন্য তারা আজ সরকার আর দেশের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যে জন্য হাত বাড়িয়েছেন। আসুন আমরা যে যার স্থান থেকে পারি এই অসহায় শিশুকন্যাটি সাহায্য করি। শিশুটির মা বেহের বানু বলেন, আমরা গরীব মানুষ, স্বামীর রোজগারে বড় মেয়ের লিখাপড়ার খরচের পাশাপাশি কোন রকম সংসার চলে। তার উপর ছোট মেয়ের সেই দ্র্ঘুটনায় তার শরীর ঝলসে যায়। তার চিকিৎসায় সব শেষ হয়ে গিয়েছে। মেয়ে আমার বড় হচ্ছ, তাকে নিয়ে আমাদেন চিন্তা ভাবনা আরও বাড়ছে। তাকে ভাল করতে হলো উন্নত চিকিৎসা করতে হবে। তার জন্য এতো টাকা কোথায় পাবো। তাই সবার কাছে আমি আমার সন্তানের জন্য সাহায্য চাচ্ছি। মেধার বাবা ইলিয়াস আলী বলেন, গরীবের যত বিপদ, বড় মেয়ে লিখাপড়া আর ছোট মেয়ে চিকিৎসা। আমি দিনমজুর, দিনে ২০০ থেকে ২৫০ হাজিরা পাই। তা দিয়ে কোনটা করবো? নার্সিংয়ে পড়ুয়া বড় মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, গরীবের ঘরে জন্ম নেওয়াটাই অভিশাপ, অর্থের অভাবে আজ আমার ছোট বোনে চিকিৎসা করতে পারছেন বাবা-মা। বাড়িতে আমিও বসে আছি, কলেজ খুলেছে। ছোট বোনটাকে নিয়ে আমরা পরিবার সবাই চিন্তিত। আমার বাবা সামান্য একজন দিনমজুর, তার উপার্জনের কোন প্রকার আমরা চলি। সব মিলে আমাদের সংসারে আজ নুন আনতে পন্তা ফুরানোর মতো। তাই সরকার সহ দেশের বিত্তবানদের নিকট আমার আকুল আবেদন দয়া করে আমার বোনটার পাশে আপনারা একটু দাঁড়ান। যোগাযোগের জন্য ফোন নং- ০১৭৮৫০৩০৬২৮




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com