সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে

বাসস:
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে স্পিকার

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ: উন্নয়নের এক যুগ নামক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি গত রোববার এ কথা বলেন। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ রাজধানীর বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
তিনি বলেন, ‘১৯৮৪ সালে জাতীয় সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন; এই সংসদ জনতার সংসদ। গণতন্ত্র ও গণমানুষের সমর্থনের প্রতি অগাধ বিশ্বাসই প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি। ছেলেবেলায় টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম থেকে শুরু করে তাঁর শিক্ষাজীবন, বৈবাহিক জীবন, পারিবারিক জীবন, রাজনীতিতে আসা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, চারবারের মত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন, অনেক গবেষণালব্ধ বিষয় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ আয়োজিত প্রদর্শনীটিতে ফুটে উঠেছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’
স্পিকার বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের ইতিহাসকে ভিন্নপথে পরিচালিত ও স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়। ১৭মে ১৯৮১ স্বজনহারার বেদনা বুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে নিহিত আছে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়াবার বার্তা। তখন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হয় নতুন মাত্রা, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন বাঁক। বাংলার মানুষ তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, যা থেকে তাঁর পথচলা। সেখান থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, স্বৈরশাসনের অবসানের সংগ্রাম, সংবিধান অনুযায়ী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সত্যি বিস্ময়কর; বলেন স্পিকার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র বিশ্বের নিকট বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন বিস্ময়। নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের নিকট আত্মশক্তিতে বলীয়ান একটি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছিলাম, তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে গেছেন স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তাঁর পিতার মতো এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে অপূর্ণ স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, সে স্বপ্নের বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনেইট প্রিফন্টেইন অতিথি হিসেবে এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ আরাফাত সূচনা বক্তব্য রাখেন। এতে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারি, গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com