রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। একইসাথে তিনি বলছেন, দেশের আভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কতটা ‘অক্ষম’, এই ঘটনা তার আরেকটি প্রমাণ। বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাকিব আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। মান্না বলেন, ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ ছিলেন শীর্ষ পাঁচ রোহিঙ্গা নেতার একজন। তিনি মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিবকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ১৭ দেশের যে সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের ২৭ প্রতিনিধি সাক্ষাৎ করেছিলেন সেখানেও যোগ দিয়েছিলেন মুহিবুল্লাহ। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের সাথেও সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। এরকম একজন নেতাকে তার অফিসের মধ্যে গুলি করে মেরে সেখান থেকে নির্বিঘ্নে চলে গেছে হত্যাকারীরা। এই ঘটনা প্রমাণ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কতটা অরক্ষিত। সেখানে কি পরিমাণ অস্ত্র রয়েছে, তার কোনো ধারণা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আছে কি-না, এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে যেকোনো হত্যা উদ্বেগজনক। ঘটনাটি যখন একজন প্রভাবশালী নেতার হত্যা এবং তা এমন একটি জায়গায় ঘটে যেখানে রাষ্ট্রের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না, তখন তা দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর কত বড় হুমকি, তা খুব সহজেই অনুমেয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তিন বছরেও তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো সফল উদ্যোগ নিতে পারেনি। দিনে দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প মাদক, সন্ত্রাস আর অবৈধ অস্ত্রের অভয়াশ্রমে পরিণত হচ্ছে। অথচ সরকারের এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই।
ডাকসুর সাবেক দু’বারের ভিপি মান্না বলেন, সরকারের হাতে দেশ, দেশের মানুষ ও রোহিঙ্গাদের জীবন যেমন নিরাপদ নয়, তেমনি নিরাপদ নয় দেশের সার্বভৌমত্ব। তারা চায় যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে। তিনি মহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে মাদক, অস্ত্র ও সন্ত্রাস মুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।