গত ৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ধানমন্ডিস্থ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন কলেজের উদ্যোগে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন কলেজের অধ্যক্ষ ও বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর বাংলাদেশ ভারতসহ বিশে^র প্রায় ১৭০টি দেশে ৩০ মিলিয়ন শিক্ষক ‘বিশ^ শিক্ষক দিবস’ পালন করছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, “Teachers at the Heart of the Education Recovery” বা শিক্ষকই শিক্ষা পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দুতে। অথচ শিক্ষকই আজ চরমভাবে অবহেলিত। বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষকগণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণের প্রায় ৭৫%-এর নেতৃত্ব দিলেও অজ্ঞাত কারণে সুদীর্ঘ ২৮ বছর যাবত কোনরূপ নির্ধারিত বেতন-ভাতা ছাড়াই প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। সরকার কর্মরত শিক্ষকদের দেশ-বিদেশের কোনো ট্রেনিং-এর আওতায়ও আনেনি। যুগ যুগ ধরে বেসরকারি টিটিসির শিক্ষকদের পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। অথচ আমাদেরকে শিক্ষকদেরও শিক্ষক বলা হয়। ‘অক্টোবর মাস শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষার মাস’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ মাসেই শিক্ষদের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি, ১৯৯৫ সালের পর বিশ^ শিক্ষক দিবস সরকারি পর্যায়ে আর পালিত হচ্ছে না। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন তাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে অবিরাম আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেলেও সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। যা প্রকারান্তরে শিক্ষকদের দাবির প্রতি এক ধরনের অনীহার শামিল। সরকারিভাবে এই দিবসটি পালন করা না হলে আইএলও সনদ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তাই আগামী বছর থেকে সরকারিভাবে বিশ^ শিক্ষক দিবস পালনের আহ্বান জানাই।
শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষার দাবি আদায়ের পক্ষে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহিম খলিল, রোকেয়া বেগম, সায়মা রহমান, তপন কুমার রায়, নার্গিস সুলতানা, গোলাম রব্বানী খান, ইব্রাহিম মোল্লা ও নাজমা বেগম প্রমুখ।