দূর্গা পূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। তাই ভৈরবে ব্যস্ততা বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের। শেষ মুহূর্তে রং তুলির আঁচরে প্রতিমা সৌন্দর্য্য ফুঁটিয়ে তুলতে দিন রাত কাজ করছে তারা। আগামী ১১ই অক্টোবর মঙ্গলবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দূর্গা পূজার মূল পর্ব। স্বারদীয় দূর্গা উৎসবকে ঘিরে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ২০টি পূজা মন্ডপে শেষ মুহূর্তে মাটির কাজ যেন দম ফেলার ফুসরাত প্রতিমা শিল্পীদের। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে দোমাটি ও রং তুলির কাজ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ইতিমধ্যেই প্রতিটি পূজা মন্ডপে মাটির কাজ শেষ করে রং তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে শিল্পীরা। আনন্দঘন ও প্রাণবন্ত পরিবেশে চলছে কারিগরী শিল্পের নৈপূণ্য। শিল্পীদের দক্ষ হাতের ছোয়ায় পূর্ণরূপে ফুঁটে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন অধিকাংশ প্রতিমা। পাশাপাশি মন্দির কমিটির উদ্যোগে চলছে প্যান্ডেল, গেইট, তোরণ, আলোকসজ্জা ও বিভিন্ন ধরণের সাজসজ্জার কাজ। একেক মন্দিরে একেক আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে প্রতিমা। যার যেমন সাধ্য সেই সাধ্য অনুযায়ী চলছে সজ্জা। জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে ৮টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে আসন্ন দূর্গা পূজা উৎসবকে ঘিরে উপজেলার জনপদে আনন্দের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের বৃহৎ এ দূর্গা পূজা উৎসব পালনের। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী জীতেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, প্রত্যেকটি মন্দিরে প্রস্তুতি প্রায় শেষ। যেহেতু করোনা প্রাদুর্ভাব রয়েছে আমরা সকল প্রকার সামাজিক দূরত্ব ও বিধি বিধান মেনে এ উৎসব পালন করব। গতবারের তুলনায় এবার ২টি পূজা মন্ডপ বেশি হচ্ছে। ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন জানান, দূর্গা পূজা উপলক্ষে পুলিশ, র্যাব, আনসার, গোয়েন্দা পুলিশ এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ ও সব ধরণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।