জেলায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে গ্রীষ্মকালীন খরিপ-১ মৌসুমে এবার ১৮৫ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, জয়পুরহাট জেলায় ২০২০-২০২১ খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন আগাম জাতের ২০০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছে ১৮৫ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪১৪ মেট্রিক টন ধরা হলেও উৎপাদন হয়েছে ৩৭০ মেট্রিক টন মরিচ। এ ছাড়াও জেলায় শতিকালীন মৌসুমে ৩২০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সোমবার পর্যন্ত জেলায় ২৮০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন মরিচের চাষ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। যাতে মরিচের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৭৬ মেট্রিক টন মরিচ। বর্তমান বাজারে ওঠা রবি মৌসুমের মরিচের সঙ্গে যোগ হয়েছে খরিপ-১ মৌসুমের আগাম জাতের মরিচ ফলে দাম কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জেলা শহরের নতুনহাট, মাছবাজার ও ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজার ঘুরে দেখা যায় কাঁচা মরিচ পাইকারী বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। যদিও জেলা শহরের খুচরা বাজারে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক কৃষিবিদ বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার মরিচের আবাদ ভালো হয়েছে। বাজারে আগাম জাতের মরিচের আমদানি কম হওয়ায় দাম একটু বেড়েছে তবে এটি বেশি দিন থাকবেনা বলে মন্তব্য করেন তিনি।