উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষনের ফলে আকস্মিক বন্যায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখনো পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে ৬ হাজার ৬৫০টি পরিবারের গ্রায় ৩০ হাজার মানুষ। পানির ¯্রােতে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি আসবাবপত্র সহ গবাদি পশু ও অসখ্য গাছপালা। পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষকের স্বপ্নের আবাদি ফসলের। বুধবার তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২দশমিক ৬০সেন্টিমিটার)স্বাভাবিকের চেয়ে ৭০ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত থেকে পানি কমতে থাকায় বৃহস্পতিবার তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সরকারী তথ্য অনযায়ি বন্যার কারনে উপজেলার তিস্তা নদি বেষ্টিত ৫টি ইউনিয়নে কয়েকটি তিস্তা রক্ষাবাধ ভেঙ্গে তিস্তার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় ভাঙ্গনের কারনে পশ্চিম ছাতনাই, পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী ও খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ৬ হাজার ৬৫০টি পরিবারের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছে। ইতিমধ্যে নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব হাসান (অঃদাঃ) স্বরজমিন পরিদশৃন করে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের ৪৯ মেট্রিকটন চাল, ২ হাজার ১০০ প্যাকেট চিড়া মুড়ি বিস্কুট গুও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরন করেন। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারের নির্দেশনায় হামার ডিমলা ফেসবুক গ্রুপের আয়োজনে ৬০০ পরিবারের মাঝে খিচুরি বিতরন করা হয়। তবে পানিবন্দি মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ডালিয়া (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুদৌলা প্রিন্স বলেন, উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে বুধবার দুপুর পয্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত থেকে পানি কমতে থাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর পয্যন্ত তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব হাসান(অঃদাঃ) বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে তিস্তা নদী এলাকার কয়েকটি বাধ ভেঙ্গে নদী বেষ্টিত বেশকিছু এলাকার ঘরবাড়ীতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যা কবলিত এলাকা স্বরেজমিনে পরিদর্শন করে বন্যা কবলিত পানিবন্দি পরিবারের মাঝে চাল ডাল চিড়া মুড়ি ও শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রননের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সব সময় খোজ খবর রাখা হচ্ছে।