লামায় গত ১৪ অক্টোবর ২০২১ ইং হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির দোকানপাট, প্যান্ডেল ভাংচুর, পুলিশের উপর হামলা ও লুটপাট বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান ছালেহ প্রিন্স বে – সরকারী টিভি চ্যানেল, সময় টিভি ও আরটিভি টকশোতে লামা পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে (২২ অক্টোবর) শুক্রবার বিকাল ৫ ঘটিকায় লামা প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ফাতেমা পারুল, শেখ মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের সভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রফিক সহ প্রমূখ। এসময় লামা উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, গত ১৪ অক্টোবর ২০২১ইং লামা বাজারে তৌহিদী জনতার ব্যানারে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন পর্যায়ের জনসাধারণ অংশ গ্রহণ করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সকল সম্প্রদায় যাতে করে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারে সেই ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সর্বাত্মক সহযােগিতা ও নিশ্চয়তা দিয়ে আসছে। বর্ণিত ঘটনার দিন কুমিল্লার একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। লামা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও লামা পৌরসভার পক্ষ থেকে সার্বিক শান্তি – শৃঙ্খলা – নিরাপত্তা এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচেষ্টা চালানাে হয়। বাংলাদেশ পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযােগী সংগঠনের অনেক দায?িত্বশীল নেতৃবৃন্দ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সর্বাত্মকভাবে সহযােগিতা করেছেন। প্রতিবাদ সমাবেশ মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত ঘােষণার পর আয়ােজক পক্ষ উপস্থিত সকলকে যার যার বাড়ী ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরােধ জানান। পৌরসভার মেয়র হিসাবে স্বয়ং আমি নিজে উপস্থিত সকলকে শান্তিপূর্ণভাবে বাড়ী ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরােধ জানিয়েছি। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য কিছু ব্যক্তি অতি উৎসাহিত হয়ে মিছিল করে মাছ বাজারের কর্ণার দিয়ে লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের পূজা মন্ডপের দিকে গমন করার চেষ্টা করেন। উপস্থিত পুলিশ তাদেরকে পূজামন্ডপ সড়ক দিয়ে গমনে বাঁধা প্রদান করেন। আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হয়ে অতি উৎসাহি – উশৃঙ্খল লােকজনকে শান্ত করার চেষ্টা করি। তথাপি অতি উৎসাহি কিছু লােকজন পূজামন্ডপের প্যান্ডেল ও বাজারের হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু দোকান পাট ভাংচুর করে। একপর্যায়ে তারা মন্দিরের গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ এবং সহযােগী সংগঠনের লােকজন তাদেরকে শান্ত করার জন্য প্রানপণ চেষ্টা করে। ঘটনার দিন লামা উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মােঃ মােস্তফা জামালসহ আমি এবং সহযােগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখি। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আলীকদম সেনা জোনের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ এই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও চারজন পুলিশ কন্সটবলসহ অর্ধ শতাধিক লােক আহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা ঘটনা চলাকালিন ও পরবর্তী সময়ে লামা বাজারের সার্বিক সম্প্রীতি, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। অথচ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান ছালেহ প্রিন্স বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি ও সময় টিভির টকশােতে আওয়ামী লীগ ও পৌরসভার মেয়রকে জড়িয়ে মিথ্যাভাবে তথ্য উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আপনাদের মাধ্যমে বিএনপি নেতার এই বক্তব্যের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।