উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের নাড়ুয়া গ্রামের ভুক্তভোগী মোঃ মালেক প্রামাণিক জানান, আমাদের জায়গা বেশ কয়েকবার মাপ জরিপ করা হয়েছে প্রতিবারই আমার জায়গা মাপ দেওয়ার পর দেখা যায় মোঃ তারা খাঁর বিল্ডিংয়ের ১০ ফুট ভেতরে চলে যায় অর্থাত, আমার জায়াগার উপর তারা খাঁ বিল্ডিং করেছে। তারপরেও আমি তার বিল্ডিং ভাংতে বলিনি। বিল্ডিংয়ের ক্ষতি যেন না হয় এজন্য গ্রামবাসীই আমাকে বিল্ডিংয়ের সীমানা পর্যন্ত বুঝিয়ে দিয়েছিলো । পরে যখন আমরা সেখানে পাকা দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা করি তখন তারা খাঁ ওন তার ছেলে রাশিদুল হাসানের নেতৃত্বে তার বাহিনী আমাদের বাধা ও হুমকি দেয়। হঠাৎ করেই গত রোববার ভোরে তারা খাঁ, ছেলে রাশিদুল ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুল মোমিন দলবল নিয়ে আমাদের অনুপস্থিতিতে আমার জায়গা জোড় পূর্বক দখল করে বেড়া দেয়। তিনি আভিযোগ করে বলেন ইউপি সদস্য মোমিন তারা খাঁ ও তাদের একজন নেতার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পক্ষপাতমূলক ভাবে আমার জায়গা দখল করে দিয়েছেন। এই অভিযোগের বিষয়ে তারা খাঁর ছেলে রাশিদুল ইসলাম বলেন, গ্রাম্য প্রধানগণ, প্রতিবেশী ও শাহজাদপুরে গণমাণ্য কিছু ব্যক্তির উপস্থিতিতে কয়েক দফা মাপ হওয়ার পরেই স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মোমিন আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে মালেক প্রামাণিক বলেন, মোমিন মেম্বারকে আমি অনেকবার বলেছিলাম যে আমার ছেলেরা শাহজাদপুরের বাইরে থাকে তারে এলে যেনো জায়গা মাপা হয়। কিন্তু আমার কথায় কোন কর্ণপাত না করে মোমিন মেম্বর আমাদের আত্মীয় হয়েও তারা খাঁর পক্ষ নিয়ে তার বাহিনীর মাধ্যমে রোববার আমার জায়গা দখল করে বেড়া নির্মাণ করেন। এই বিষয়ে হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মোমিন বলেন, এলাকাবাসীর উপস্থিতিতেই উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধপূর্ণ জায়গা কয়েক দফ মাপা হয়েছে। মালেক প্রামাণিকের দাবি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে, আঃ মালেক বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।