জেলায় চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির আবাদ হচ্ছে। চলতি মাসের ১৫ অক্টোবর থেকে আবাদ শুরু হয়ে আগামী বছরের মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে। ইতোমধ্যে ৩ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত জমি থেকে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫ মেট্রিকটন শাক-সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে।
এছাড়া নিরাপদ ও পুষ্টিকর সবজি উৎপাদনে ভার্মি কম্পোস্ট ও জৈব সার ব্যবহারের জন্য বলা হচ্ছে কৃষকদের। ফলে রাসয়নিক সারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে সবজি।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো: হুমায়ুন কবির জানান, গতছর শীতকালীন শাক-সবজির হেক্টরপ্রতি উৎপাদন হয়েছে ১৮ মেট্রিকটন করে। আর এবছর ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ২১ মেট্রিকটন করে। অনেক কৃষক আগাম শাক-সবজি চাষ করছেন, যা ইতোমধ্যে ফলন চলে এসেছে। কেউ কেউ বাজারে বিক্রিও করছেন। প্রথম দিকের সবজি হওয়াতে দামও ভালো পাচ্ছেন তারা।
এসব সবজির মধ্যে লাল শাক, টমেটো, মূলা, ক্যাপসিক্যাম, ফুল কপি, বাঁধা কপি, বেগুন, লাউ, শিম, ধনে পাতা, পালং শাক ইত্যাদি রয়েছে। বিশেষ করে জেলার বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন চরাঞ্চলে প্রতিবছরই প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়ে আসছে। এসব চরে ক্যাপসিক্যম, স্টবেরি, করলা, রেখা চিচিঙ্গার আবাদ বেশি হচ্ছে।
উপজেলা সদরের শীবপুর ইউনিয়নের চালতাতুলী এলাকার কৃষক মনিরুল ইসলাম, জোবায়ের হাসান ও ফজলে করিম বলেন, তারা ৪ একর জমিতে লাউ, করলা, ফুল কপি ও লাল শাকের চাষ করছেন। মাঠে ফসলের অবস্থা বেশ ভালো। পোকা মাকড়ের তেমন উপদ্রব নেই। স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ পাচ্ছেন বলে জানান তারা।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মো: এনায়েতউল্লাহ বলেন, এ জেলায় প্রতিবছরই ব্যাপক পরিমান জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির চাষ করা হয়। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায় পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত কয়েকবছর ধরে ক্যাপসিক্যাম চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এবছর বিভিন্ন প্রর্দশনীর আওতায় এক বিঘা জমির অনুকূলে ২ শাতাধিক প্রর্দশনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের বিষমুক্ত ও নিরাপদ সবজি উৎপাদনে প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি সব ধরনের পরামর্শ সেবা প্রদান অব্যাহত রখেছি। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে এখানে সবজির বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করেন জেলার কৃষি বিভাগের প্রধান এ কর্মকর্তা।