চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স অবাক করে দিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। প্রতিভার অভাব ছিল না পাকিস্তানে। কিন্তু ছিল ধারাবাহিকতার অভাব। কিন্তু এই বিশ্বকাপে প্রথমে ভারত, তারপর নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও নামিবিয়ার বিরুদ্ধে সহজ জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। বোলিং বিভাগে যেমন শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফদের কথা উল্লেখ করতে হবে, তেমনই বলতে হবে বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের কথা। এই ওপেনিং জুটি পাকিস্তানকে দুর্দান্ত প্লাটফর্ম দিচ্ছে।
একমাত্র নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছাড়া সব ম্যাচই রান করেছেন বাবর। রিজওয়ান টেকনিক্যাল দিক থেকে পাকিস্তান অধিনায়কের মতো কমপ্লিট না হলেও, দ্রুত রান তুলতে পারেন। সিঙ্গেল, ডবল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখতে পারেন। প্রয়োজনে বড় শট খেলতে পারেন। বিশেষ করে লেগ সাইডে বেশ শক্তিশালী। পাকিস্তানের বর্তমান ব্যাটিং পরামর্শদাতা ম্যাথু হেডেন মনে করেন বাবর এবং রিজওয়ান একে অন্যকে খুব ভাল করে বোঝেন। যে কারণেই এত সাফল্য এই জুটির। যেমনটা ছিল তার এবং অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এর মধ্যে।
হেডেন মনে করেন, দুজন টেকনিক্যালি আলাদা হলেও, রান করার ব্যাপারে দুজনেই যথেষ্ট কার্যকরী। ভারতের বিরুদ্ধে এই জুটি ১৫২ রান তুলেছিল। কোনো উইকেট না হারিয়ে জিতে যায় পাকিস্তান। হেডেন বলছেন ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে তিনি টেকনিক পরিবর্তন করতে যাননি। শুধু কোন জায়গায় রান করার গতি বাড়াতে হবে এবং কোন বোলারের বিরুদ্ধে, কী স্ট্র্যাটিজি হবে সেটুকুই বলেছেন মাত্র। রিজওয়ান মাঠে দাঁড়িয়ে বোলারদের কল্পনা করে শ্যাডো করেন। সেটা দেখা ড়েছে আগেই। হেডেন বলছেন এটা পরিষ্কার করে দেয় রিজওয়ানের রান করার খিদে কতটা।
টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার এভারেজ ৯৫। এমন চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স প্রমাণ করে দেয় পাকিস্তানের সাফল্যের পেছনে এই জুটির ভূমিকা কতটা। বাবর নতুন প্রকাশিত তালিকায় আবার শীর্ষস্থান দখল করেছেন। ফাস্ট বোলিং এবং স্পিন, দুটির ক্ষেত্রেই সমান সাবলীল। হেডেন মনে করেন রিজওয়ান উচ্চতায় কম হলেও, মনের দিক থেকে সাহসী। ফাস্ট বোলিং খেলতে ভয় পায় না। মূলত তার অসাধারণ পারফরম্যান্স দলে জায়গা দিচ্ছে না সরফরাজ আহমেদকে। সেটা নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নয় পাকিস্তান। বাবর এবং রিজওয়ান এভাবেই সেমিফাইনালে পারফর্ম করুন, সেটাই একমাত্র লক্ষ্য পাক দলের। সূত্র : নিউজ ১৮