বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে নির্বাচন বলতে কিছু নেই। নির্বাচন কমিশন একটা আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। এই নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’ তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। নির্বাচন বলতে কিছু নেই। নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়। এমনকি যে, নির্বাচন কমিশন আছে সেটা একটা আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নবগঠিত বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটির নেতাদের নিয়ে শেরে-বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, এখন বিএনপির ওপর সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন নির্যাতন হচ্ছে। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে এক লাখ মামলা চলছে। বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল যখন যাকে পাচ্ছে ঘর থেকে হোক, রাস্তা থেকে হোক তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য স্বৈরশাসনের অপসারণ করে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। সেজন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীরা লড়াই করছেন।
ইউপি নির্বাচনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেলিমা রহমান বলেন, আমরা আগেও বলেছি, এই সরকার যতদিন থাকবে ততদিন নির্বাচন করে কোনো লাভ নেই। নির্বাচন মানে হলো নতুন সরকার আসা যাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকবে। সেখানে জবাবদিহি ছাড়া ভোটবিহীন ইউপি নির্বাচন হচ্ছে। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন নিজেদের মধ্যে মারামারি। যে বেশি প্রভাবশালী সেই কিন্তু প্রতীক এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করছে। যুবলীগ নিহত হচ্ছে, দুই ভাই নিহত হচ্ছে। কাজেই নির্বাচন হয়েছে বা কি হয়নি, সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এটা কোন নির্বাচন না। তারা একদলীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এসব করছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে আমরা তখনই যাব যখনই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক হবে। এখন আমরা নির্বাচনে যাওয়ার কোনো ধরনের চিন্তা-ভাবনা করছি না। আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সদ্য দায়িত্ব পাওয়া বরিশাল দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক মজিবর রহমান নান্টু, সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেবুল, বরিশাল উত্তর জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (বীর মুক্তিযোদ্ধা), সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মুকুল, বরিশাল মহানগর আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার বাবুল, সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।