গতকাল ১৩ নভেম্বর ছিল বাংলা গদ্যের জাদুকর এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন । ১৯৪৮ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই বাংলা সাহিত্যের এই কিংবদন্তি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মারা যান। হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালন উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। রাজধানীর ধানমন্ডির দখিন হাওয়া বাসাটির নাম পুরো দেশের মানুষেরই জানা। এই ফ্ল্যাটে থাকতেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। জীবিত থাকতে হুমায়ূনের জন্মদিন এ বাড়িতে বেশ আয়োজন করে পালিত হতো। তিনি এখন নেই। তবে তার জন্মদিনে এখনও আয়োজন ও সমাগমে ভরে ওঠে দখিন হাওয়া। গতকাল শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে হুমায়ূনের জন্মদিনের কেক কেটেছেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এবং দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত। হুমায়ুনের ৭৩তম জন্মদিনের কেকটা ছিল নিষাদ-নিনিতের পক্ষ থেকে। কেকের ওপর লেখা ছিল ‘শুভ জন্মদিন বাবা’। জন্মদিনে বাবার কাছাকাছি থাকতে চায় নিষাদ-নিনিত। শনিবার নুহাশ পল্লীতে থাকবে তারা। থাকবেন শাওনও। শাওন বলেন, ‘সারাদিন নুহাশ পল্লীতেই থাকব। বিশেষ কোনো আয়োজন নেই। হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করব। ঢাকায় কোনো আয়োজনে থাকছি না।’
হুমায়ূন আহমেদ ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের অন্যতম। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে হুমায়ূন সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্যদিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি সমাদৃত। হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন শতাধিক। তার বেশ কিছু বই পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।