বিএনপির অতীত অবদানের ইতিহাস তুলে ধরলে সরকারের গাত্রদাহ হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের পরিকল্পনা ছিল দেশকে সাজানো। তিনি দেশের জন্য যেসব অবদান রেখেছেন, আওয়ামী লীগ সেখানে ব্যর্থ হয়েছে। তার সব রেখে যাওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য লড়েছেন বেগম জিয়া। এজন্য আমরা যদি বিএনপির অতীত অবদানের ইতিহাস তুলে ধরি তাহলেই সরকারের গাত্রদাহ হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টস ইউনিটিতে ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে জিয়া পরিবারের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ক্রীড়া কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক।
খন্দকার মোশারফ বলেন, আজকে দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। সংবাদপত্রের কথা বলার অধিকার হরণ করা হয়েছে। দলীয়করণ করে ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তান আমলে ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতিমুক্ত ছিল। স্বাধীনতার পর ৭২ সালে এটিকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেখান থেকে ক্রীড়াজগতকে উদ্ধার করতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, জাতির সামনে যেভাবে আজকে সকল ইতিহাস বিকৃত অবস্থায় উপস্থাপন করা হচ্ছে, এর থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। জিয়াউর রহমান ক্রীড়া জগতকেও সাজাতে চেয়েছিলেন। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, মুক্তিযুদ্ধসহ এর পরবর্তী সঠিক ইতিহাসকে তুলে ধরা। আমরা শুরুও করেছি। কিন্তু করোনার কারণে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। আমরা কমিটি গঠন করেছি। ক্রীড়া কমিটি তারই অংশ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ওই সময়ে দেখেছেন দেশের যুবকরা বিপথে চলে যাচ্ছিল। তিনি তাই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করলেন। যেন যুবকদের বিপথ থেকে ফিরিয়ে খেলাধুলায় ব্যস্ত রেখে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়। জিয়াউর রহমান ছাত্রদের হাতে যেন অস্ত্র না যায়, এজন্য ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পদ দেন আমার হাতে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘ছাত্রদের বিপথ থেকে ফেরাতেই একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের হাতে আমি ছাত্রদের দায়িত্ব দিচ্ছি।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের ভাষাভিত্তিক জাতীয়তা নিয়ে বিতর্ক ছিল। জিয়াউর রহমান সেটা জাতীয় রূপ দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। সংবিধানে বিসমিল্লাহ আগে ছিল না। জিয়াউর রহমান সাহস করে সংবিধানে বিসমিল্লাহ বসিয়েছেন। যেটা আর কেউ মুছতে পারবে না। আজকে সেসব সঠিক ইতিহাস মানুষের সামনে তুলে ধরাই বিএনপির দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নিতাই রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।