স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনা হবে আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর। আলোচনার শুরুর দিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে স্মারক বক্তৃতা দেবেন। পরে সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন ও আলোচনা হবে। দুই দিনব্যাপী এ আলোচনা শেষে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সংসদ অধিবেশনের বৈঠক শেষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সাল আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। বর্ণাঢ্য ও যথাযথ মর্যাদায় সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য জাতীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি বছরব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের আমন্ত্রণে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামী ২৪ নভেম্বর বিকেল ৩টায় স্মারক বক্তৃতা প্রদানে সদয় সম্মতি প্রদান করেছেন বলে স্পিকার জানান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপনে গত বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে নানা কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার। তবে করোনাভাইরাস মহামারির জন্য কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে করতে না পারায় মুজিববর্ষের মেয়াদ ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করেছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গত বছরের নভেম্বর মাসে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশেষ অধিবেশনে বসে জাতীয় সংসদ। ওই অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বিশেষ আলোচনা কথা চলমান একাদশ সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই স্পিকার জানিয়েছিলেন।