সাম্প্রতিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের দেওয়া লকডাউনের মধ্য দিয়ে এবং দেশের জনগনের কথা চিন্তা করে করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান রেখেছেন বর্তমান সরকার। অপর দিকে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে লকডাউন ও চলাফেরা বিধিনিষেধ থাকায় ও নিজেদের অর্ন্তদন্দের কারনে মাঝে মধ্যে আমদানী-রপ্তানি হলেও মার্চ থেকে প্রায় ৮ মাস একটানা ভারত হতে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের রৌমারীর নতুনবন্দর স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অপরদিকে আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন পাথর ভাঙ্গা হাজার হাজার শ্রমিক ও ড্রাইভার হেলপার। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ভারতের কিছু অর্ন্তদন্দের কারনে চুন থেকে পান খোষলে তারা পাথর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এই স্থলবন্দর দিয়েই পাথর রপ্তানি হয় বেশি। দির্ঘ একটানা ৮ মাস আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছিলেন ব্যবসায়ী ও হাজার খানিক শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকায় একদিকে বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ ব্যহত হয়েছে অন্যদিকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। তবে উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন ভাবে ধরপাকরের মাধ্যমে স্থলবন্দরটির আমদানি-রপ্তানি দুই দেশের মধ্যকার আলোচনা সাপেক্ষে গত ১৬ নভেম্বর থেকে পাথর আমদানি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন, লিজা এন্টারপ্রাইজ সেলিম আহমেদ, রুনা এন্টারপ্রাইজ সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, মেহেদী এন্টারপ্রাইজ কাইয়ুম,মেসার্স ফিদা এন্টারপ্রাইজ আফজাল হোসেন বিপ্লব, রফিক ট্রেইডার্স রফিকুল ইসলামসহ আরো অনেকে। তবে আমাদের দাবী করোনা ভাইরাসের কারনে হউক কিংবা ভারতের অভন্তরে রাজনৈতিক ভাবে সমস্যার কারনে হউক বন্ধ হয়েছিল আমদানী রফতানি। এতে ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় হাজার হাজার শ্রমিক স্ত্রী সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতী পাত করেছেন। আমরা আসা করছি এসব বন্ধের সমস্যা গুলি যেন আর না হয়, সেটার জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। রৌমারীর এলসিপোর্ট (স্থলবন্দর) পাথর ভাঙ্গা কাজে নিয়োজিত শ্রমিক আমিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, মোকছেদ আলী, রফিয়েল হক, সাইদুর রহমানসহ অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এলসিপোর্ট (স্থলবন্দর) আমদানী রপ্তানি বন্ধ থাকায় আমাদের স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টের সিমা ছিল না। গত ১৬ নভেম্বর থেকে আবার পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। আমরা আগের মতো পরিশ্রম করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ডাল ভাত খেয়ে বাচতে পারবো। চর নতুনবন্দর ইনপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট গ্রুপের সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ তুহিন বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতো, যা থেকে প্রতিদিন রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছিল সরকার। অন্যদিকে কাজ না থাকায় শ্রমিকগণ কষ্টে দিনাতী করতো। সকল সমস্যা সমাধান শেষে গত ১৬ নভেম্বর নতুন করে ভারত থেকে পাথর আমদানি হচ্ছে। এভাবে আমদানি রপ্তানি চলমান থাকলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে, শ্রমিকদের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হবে ও সরকারের রাজস্ব আয় হবে। রৌমারী শুল্ক কর্মকর্তা সাহাবুদ্দিনের সাথে এলসিপোর্টে আমাদানি রপ্তানির বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাস ও ভারতের বিভিন্ন সমস্যার কারণে পণ্য আমদানি রপ্তানিতে প্রায় ৮ মাস বন্ধ ছিল। সকল ঝুটঝামেলা শেষে গত ১৬ নভেম্বর থেকে আমদানি রপ্তানি শুরু হয়েছে। আমদানি রপ্তানিতে সরকার রাজস্ব্য আয় পাবে অন্যদিরক ব্যবসায়ী লাভবান হবে এবং হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুবিধা পাবে।