সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন

সাতক্ষীরায় গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস আহরণে গাছিরা গাছ প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন

রবিউল ইসলাম সাতক্ষীরা :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১

যারা খেজুরের রস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে গাছ কাটায় পারদর্শী স্থানীয় ভাষায় তাদেরকে ‘গাছি’ বলা হয়। এ গাছিরা হাতে দা নিয়ে ও কোমরে দড়ি বেঁধে নিপুণ হাতে গাছ চাঁচা-ছোলা ও নলি বসানোর কাজ শুরু করেছেন। শীত মৌসুম এলেই তালা উপজেলায় সর্বত্র শীত উদযাপনের নতুন আয়োজন শুরু হয়। খেজুরের রস আহরণ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এ এলাকার গাছিরা। তাদের মুখে ফুটে ওঠে রসালো হাসি। শীতের দিন মানেই গ্রামাঞ্চলে খেজুর রস ও নলেন গুড়ের ম-ম গন্ধ। শীতের সকালে খেজুরের তাজা রস যে কতটা তৃপ্তিকর তা বলে বোঝানো যায় না। আর খেজুর রসের পিঠা এবং পায়েস তো খুবই মজাদার। এ কারণে শীত মৌসুমের শুরুতেই গ্রামাঞ্চলে খেজুর রসের ক্ষীর, পায়েস ও পিঠে খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাড়িতে খেজুর রসের তৈরি খাদ্যের আয়োজন চলে। শীতের সকালে বাড়ির উঠানে বসে সূর্যের তাপ নিতে নিতে খেজুরের মিষ্টি রস যে পান করেছে, তার স্বাদ কোনো দিন সে ভুলতে পারবে না। শুধু খেজুরের রসই নয় এর থেকে তৈরি হয় সুস্বাদু পাটালি, গুড়। খেজুর গুড় বাঙালির সংস্কৃতির একটা অঙ্গ। নলেন গুড় ছাড়া আমাদের শীতকালীন উৎসব ভাবাই যায় না। তালা উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের গাছি মোনতাজ মোড়ল, গণেশ শীল ও জেয়ালা নলতা গ্রামের আদিল উদ্দীন সরদার জানান, আর মাত্র কয়েক দিন পরই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হবে। রস থেকে গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত। হেমন্তের প্রথমে বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করবে সুস্বাদু খেজুরের পাটালি ও গুড়। অবহেলায় বেড়ে ওঠা খেজুরের গাছের কদর এখন অনেক বেশি। এছাড়া খেজুর গাছের রস হতে উৎপাদিত গুড় দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান তারা। তালা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজিরা খাতুন জানান, তালায় কি পরিমাণ খেজুর গাছ আছে বা ছিলো তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে এটা বলা যাচ্ছে দিন দিন খেজুর গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও পাটালি, গুড় তৈরি করে নিকটস্থ বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com