প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে মিয়া সেপ্পো
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেছেন, জাতিসংঘ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাবে। মিয়া সেপ্পো গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাবো।’
শেখ হাসিনা বলেন, মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু তারা এখন সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু, তাদের উচিত এখন নিজ দেশে ফিরে যাওয়া।’ বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যে সব এনজিও বাংলাদেশে কাজ করছে সে সব এনজিও রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের নিজ দেশেও কাজ করতে পারে। বৈঠকে তাঁরা কভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়েও আলোচনা করেন। নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রত্যেক সরকারি চাকরিতে বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী বিজিবি এবং সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। জলবায়ু প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি তাঁর দল ও সহযোগি সংগঠন গুলোও বিপুল সংখ্যক বৃক্ষ রোপণ অভিযান পরিচালনা করছে। মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশে তার অবস্থানের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। এ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া-আগরতলা রেল রুট পুনরায় চালুর ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে আখাউড়া-আগরতলা রেল রুট পুনরায় চালু করা হবে। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগ বাড়াতে হবে। আখাউড়া-আগরতলা রেল রুটের সব কিছুই (প্রয়োজনীয় স্থাপনা) সেখানে রয়েছে। এখন শুধুমাত্র তা পুনরায় চালু করতে হবে।’ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ বাড়ানো হলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগের উন্নতি হবে, বলেন তিনি। ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী প্রধানমন্ত্রীর সাথে গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যেকার সম্পর্ক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য ও পর্যটন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। দোরাইস্বামী প্রধানমন্ত্রীকে জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিজয় দিবস উদযাপনে ভারতের রাষ্ট্রপতি যোগদান করতে বাংলাদেশ সফর করবেন।