সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
আওয়ামী লীগ দেশে বিশৃংখলা তৈরি করতে চায়-হাসান উদ্দিন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১দফা বাস্তবায়নে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবীতে মোংলায় জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ ঈশ্বরগঞ্জে আলীগের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল মানবতা বিরোধী ও গণহত্যাকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ কর্তৃক দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল সমন্বিত খামার স্থাপন ও সম্প্রসারণ এবং বাযো গ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালা রায়গঞ্জে প্রতিবন্ধী কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতা কর্মীরা মানিকগঞ্জে গণপ্রকৌশল দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি-আলোচনাসভা সৎ, যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার আহবান জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৭নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পটুয়াখালী বিএনপির র‌্যালি

বিদায় নিলেন অ্যাঞ্জেলা মার্কেল

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১

দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের কার্যকালের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। আগামী সপ্তাহে নতুন সরকারের কার্যভার গ্রহণ করার কথা।
ক্ষমতা হস্তান্তরের ঠিক আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। যথাযোগ্য সামরিক মর্যাদার সাথে বার্লিনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দফতরে সেই অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজ ও সৈন্যদের অর্কেস্ট্রায় বাজনা শোনানো হলো। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর সরকার প্রধান হিসেবে বিদায় নেবার আগে নিজের ভাষণে মার্কেল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার পক্ষে সওয়াল করলেন।
তার মতে, যখনই কোথাও ঘৃণা ও হিংসাকে নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার বৈধ হাতিয়ার হিসেবে গণ্য করা হয়, তখনই গণতন্ত্রকামী হিসেবে আমাদের সহিষ্ণুতার সীমা শেষ হওয়া উচিত। তিনি জার্মানির মানুষের উদ্দেশে ঘৃণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন। অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও সবসময়ে জগতকে দেখার পরামর্শ দেন তিনি। কখনোই আশাবাদ ত্যাগ না করারও ডাক দেন মার্কেল।
মার্কেল নিজের কার্যকালে বিভিন্ন সঙ্কটের উল্লেখ করেন। জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটালাইজেশন, শরণার্থী সঙ্কটের মতো বিশাল চ্যালঞ্জে সামলাতে নিজের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন তিনি। এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও বহুপাক্ষিক কাঠামোগুলোকে মার্কেল অপরিহার্য বলে বর্ণনা করেন। রাজনীতিক ও মানুষ হিসেবে তিনি এমন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও নিজেকে পরিপূর্ণ মনে করেছেন, বলেন মার্কেল।
বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কেলের সম্ভাব্য উত্তরসূরী ওলাফ শলৎস। মার্কেল তাকে ও তার ভবিষ্যৎ প্রশাসনকে আন্তরিক শুভকামনা জানান। প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারও ম্যার্কেলকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন। করোনা সঙ্কটের কারণে অনুষ্ঠানে বেশি সংখ্যক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হয়নি। তবে চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দল ছাড়া জার্মানির অন্য সব রাজনৈতিক শক্তির প্রতিনিধিরা মার্কেলের বিদায়ী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন।
কোনো বেসামরিক ব্যক্তিকে সম্মান জানাতে জার্মান সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সম্মান এই অনুষ্ঠান। সাধারণত চ্যান্সেলর, প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বিদায় জানাতে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ষোড়শ শতাব্দী থেকে এই ঐতিহ্য চলে আসছে। সন্ধ্যাকালীন এই অনুষ্ঠানে বিদায়ী নেতার পছন্দের সুরের পাশাপাশি জাতীয় সংগীতও পরিবেশন করা হয়। মার্কেল নিজের পছন্দের তিনটি গান বাছাই করেছিলেন। সাবেক পূর্ব জার্মানিতে থাকাকালীন ও জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে এই গানগুলো তার মনে রেখাপাত করেছে।
আনুষ্ঠানিক বিদায়ের পরেও কয়েক দিন কার্যনির্বাহী চ্যান্সেলর হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে মার্কেলকে। বিশেষ করে করোনা সঙ্কটের কারণে জার্মানিতে এই মুহূর্তে বিদায়ী সরকারের পক্ষেও নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা সম্ভব নয়। ভবিষ্যৎ সরকারের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়েছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com