রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে খাস কালেকশনের নামে দুর্নীতি: জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ নতজানু নীতির কারণে হাসিনা সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ করেননি খেলাধুলা শরীরিক ওমানসিক বিকাশ ঘটায় : রেজওয়ানুল হক পাটগ্রামের দহগ্রামে বন্যা কবলিত পরিবারের মাঝে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ত্রাণ সহায়তা প্রদান কালীগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন ফটিকছড়িতে হামলার পর উল্টো মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ! লাকসামে ১৬৫ পরিবারকে স্পেন-বাংলাদেশ সোসাইটির নগদ অর্থ সহায়তা শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে নড়াইলে হরিলীলামৃত স্কুলের শিক্ষকদের সম্মানী প্রদান ফুলপুরে বন্যার মারাত্মক অবনতি রায়গঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত

অবাধে চলছে বালু উত্তোলন হুমকির মুখে ফসলি জমি, বেহাল অবস্থায় রাস্তাঘাট

নুর হাসান চান রংপুর :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১

রংপুর সিটি কর্পোরেশনে ঘাঘট নদীর তীরে ইজারা ছাড়াই অবাধে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় গোলাম মোস্তফা নামে এক প্রভাবশালী।ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার এবং হুমকির মুখে পড়েছে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসরতদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। মঙ্গলবার (৭ই ডিসেম্বর)সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিটির ১৪ নং ওয়ার্ডের গোলাগঞ্জ মনোহরপুর সংলগ্ন ঘাঘট নদী থেকে ইজারা ছাড়াই অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে গোলাম মোস্তফা নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা ৪ এর (খ) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনি¤œ এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।নদীর দুই অংশের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আড়াই বছর ধরে বালু তুলছেন মোস্তফা গং। স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও তারা তা বন্ধ করেনি। ট্রাক্টর চালকরা জানায়, তারা প্রতি ট্রাক্টর ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা করে বালু কেনে। এরপর বিভিন্ন এলাকায় প্রতি ট্রাক্টর বালু ৭০০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি করে তারা। ঐ বালুঘাটে গিয়ে জানা গেছে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক্টর বালু পরিবহন করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানায়, এখানে বালু উত্তোলনের ফলে আমাদের অনেকের জমি ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।বেহাল অবস্থায় পড়েছে রাস্তাঘাট, ছেলে মেয়ে রাস্তায় বের হতেও ভয় পান। অন্যদিকে অবৈধ বালু উত্তলনকারী গোলাম মোস্তফা জানালেন, প্রশাসন সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করে নিজের জমি রক্ষায় আড়াই বছর ধরে বালু উত্তোলন করে আসছেন সে। তার বালু তোলায় কারো কোনো ক্ষতি হচ্ছেনা বলেও জানান তিনি। এদিকে এলাকাবাসীর দাবী, দ্রুত প্রশাসন গোলাগঞ্জ মনোহর পুরে মোস্তফা গং এর অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com