চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃতীয় লিঙ্গের অনিকা রানী। মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের সময় নিজস্ব ঘোড়ায় চড়ে তিনি নির্বাচন অফিসে প্রতীক নিতে আসেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তার প্রার্থীতা নিয়ে সর্বমহলে গুঞ্জন শুরু হয়। দিনভর গুঞ্জনের মূল কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল তৃতীয় লিঙ্গের অনিকা রানী কিভাবে সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রার্থী হয়। জানা গেছে, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের বৈদ্যেরবাজার সাতভাইয়া পাড়া গ্রামের মৃত মো. সাইজুদ্দিনের ৮ ছেলে মেয়ের মধ্যে অনিকা রানী ওরফে সাহাবুদ্দিন সপ্তম। অনিকা রানী পেশায় একজন মাছ বিক্রেতা। গত ইউপি নির্বাচনে অনিকা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হন। তবে এবারের নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনে অনিকার হেলিকপ্টার প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমেছেন উর্মি আক্তার, পারভিন আক্তার ও মোমেলা আক্তার। এব্যাপারে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী অনিকার দাবী, তৃতীয় লিঙ্গের এরাও মানুষ। আমাদেরও নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার রয়েছে। ইতিমধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের একজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, জয়ের ব্যপারে তিনি আশাবাদী। সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের এরাও মানুষ। তাদের অধিকার রক্ষায় সর্বক্ষেত্রে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ইতিমধ্যে একটি সফলতা আমরা দেখতে পেয়েছি। এদিকে তৃতীয় লিঙ্গের হয়েও সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রার্থীতা নিয়ে ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কমিশনার মো. মতিউর রহমান উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, বাছাইটা কবে হয়েছে। আপনার কোয়ালিটি কি। বাছাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তি, সাংবাদিক, সাধারন মানুষ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান সবারই সেখানে বলবার সুযোগ থাকে, আপত্তি দেয়ার সুযোগ থাকে, বাতিল হলে আপিল করার সুযোগ থাকে। এপর্যায়ে এগুলোতো শেষ হয়ে গেছে। এখন কেন প্রশ্ন উঠছে।