জামালপুরে এসপি নাছির উদ্দীন আহমেদকে প্রত্যাহারের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে নির্বাক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা সাংবাদিকদের পিটিয়ে চামড়া তুলে নেয়া এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফাঁসানোর হুমকির ঘটনায় টানা আন্দোলনের ৫ম দিনে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনে এ নির্বাক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে জামালপুর প্রেসক্লাব, জেলা প্রেসক্লাব, জামালপুর রিপোর্টার্স ক্লাব, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা জামালপুর শাখা, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনসহ উপজেলার সাংবাদিকরা অংশ নেন।নির্বাক প্রতিবাদ সমাবেশের পর আজকের জামালপুরের সম্পাদক এম এ জলিল বলেন, জুয়া খেলার জন্য পুনাকের এই মেলার আয়োজন করেছে পুলিশ প্রশাসন। এ মেলার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ও চেম্বার অব কমার্সের অনুমতি না মিললেও মেলার সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা সাংবাদিকরা নীতিগত কারণেই জুয়া খেলার উদ্দেশ্যে আয়োজিত এ মেলাকে সমর্থন করতে পারিনা। অবিলম্বে এ মেলা বন্ধ করে পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিশ্ব এখন করোনার ওমিক্রন ভয়াবহতার মুখোমুখি। করোনা ভাইরাসের নতুন এই ভেরিয়েন্ট থেকে বাঁচতে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যাবশ্যক। পুনাক মেলা চললে করোনার এই ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া এখন চলছে এসএসসি পরীক্ষাও। তাই মেলা চললে সবদিক দিয়েই ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্যের জন্য পুলিশ সুপারের দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান। প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে পুনাক মেলা সম্পর্কে অবহিত করতে সাংবাদিকদের মেলা প্রাঙ্গণে ডাকেন ওই পুলিশ সুপার। তার ডাকে সাড়া দিতে না পারায় পুলিশ সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানকে ধরে পিটিয়ে চামড়া তুলে নেওয়াসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফাঁসানোর হুমকি দেন। তারপর থেকেই আন্দোলনে নামেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।