গত কয়েকদিন ধরে অধিনায়কত্ব নিয়ে উত্তাল ভারতের ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে নিজ থেকেই কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। আর বুধবার তার কাছ থেকে একপ্রকার জোর করেই কেড়ে নেওয়া হয়েছে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দুই ফরম্যাটেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রোহিত শর্মাকে। পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটেও কোহলির ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এ ডানহাতি ওপেনার। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি থেকেও কোহলিকে সরানোর কোনো ইচ্ছে তাদের ছিল না।
কিন্তু কোহলি যখন নিজ থেকে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের দায়িত্ব ছেড়ে দেন, তখন বোর্ডের সামনে তার ওয়ানডে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না। এক্ষেত্রে বোর্ডের ভাবনা হলো, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে একাধিক অধিনায়কের কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাঙ্গুলি বলেছেন, ‘আমরা বিরাট কোহলিকে অনুরোধ করেছিলাম যেনো টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব না ছাড়ে। কিন্তু সে এটা চালিয়ে নিতে চায়নি। তাই নির্বাচকদের মনে হয়েছে সাদা বলের ক্রিকেটে দুজন আলাদা অধিনায়ক থাকার প্রয়োজন নেই। এতে লিডারশিপ বেশি হয়ে যায়।’ টিম ম্যানেজম্যান্টের এই সিদ্ধান্ত অর্থাৎ কোহলিকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন ছিল গাঙ্গুলির। ওয়ানডে ফরম্যাটে কোহলির সাফল্যের কথা মাথায় রেখেই আগামী বিশ্বকাপের জন্য নতুন অধিনায়ক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ! আমরা জানি ওয়ানডে অধিনায়কত্বে কোহলির রেকর্ড কেমনে। তবে আপনারাও যদি রোহিতের ওয়ানডে অধিনায়কত্বের রেকর্ড (দশ ম্যাচে আট জয়) দেখেন, সেটিও দুর্দান্ত। তবে মূল কথা হলো, সাদা বলের ক্রিকেটে দুজন অধিনায়ক সম্ভব নয়।’
ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারানোর বিষয়টি কোহলিও মেনে নিয়েছেন জানিয়ে গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমি বিস্তারিত বলতে চাই না ঠিক কী আলোচনা হয়েছে এবং নির্বাচকরা কী বলেছেন। তবে এটিই প্রাথমিক কারণ রোহিতকে সাদা বলে অধিনায়ক করার এবং কোহলিও তা মেনে নিয়েছে।’