সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশকে রুখে দিল নেপাল

স্পোর্টস ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১

বাংলাদেশকে রুখে দিয়েছে নেপালের নারী ফুটবল দল। নেপালের বয়সভিত্তিক দলটির সাথে গোলশূন্য ড্র করে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে ফেবারিট বাংলাদেশ। ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৮ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে দু’বার হারিয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছিলেন মারিয়া মান্দারা। এরপর ফাইনালে নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ওই একই টুর্নামেন্ট এবার হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ বছরের পর্যায়ে। বাংলাদেশের এ দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই সেবার ভুটানে খেলেছিলেন। কিন্তু তিন বছর আগের সুখস্মৃতি এবার আর ফেরাতে পারলেন না বাংলাদেশের মেয়েরা।
খেলার ধরণ ছিল এমন যে আঁখি খাতুনের শট লেগেছে সাইড পোস্টে। শামসুন্নাহার জুনিয়রের বাইসাইকেল কিক দারুণ দক্ষতায় ধরে ফেলেছেন নেপালের গোলরক্ষক অঞ্জনা রানা মাগার। ঋতুপর্ণার কয়েকটি শট অল্পের জন্য বার ঘেঁষে পোস্টের বাইরে চলে গেছে। আরেকটি শট তো গোললাইন থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন নেপালের ডিফেন্ডার বিমলা বিকে। অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য গোল না পাওয়ার আক্ষেপের এক গল্প! নেপালের অর্ধেই বেশির ভাগ সময় খেলাটা হয়েছে। বল পজিশনেও এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শুধু ফিনিশিংয়ের অভাবে একটা গোল বের করতে পারেননি তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহারেরা।
ম্যাচের শুরু থেকে বিরতিতে যাওয়ার আগপর্যন্ত নেপালের অর্ধে প্রায় হাফ ডজন গোলের সুযোগ তৈরি করেও সফল হননি মারিয়া মান্দারা। বারবার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন নেপালের গোলরক্ষক অঞ্জনা রানা মাগার। শুরু থেকেই প্রাচীর হয়ে রইলেন অঞ্জনা, ম্যাচের শেষ সময় পর্যন্ত ঠিক একইভাবেই দেখা গেল তাকে। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের, আঁখির শট সাইডপোস্টে লেগে ফেরে। আর ১৫ মিনিটে বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠা মারিয়ার শট বিমলার গায়ে লেগে শামসুন্নাহারের সামনে গিয়ে পড়ে। উড়ন্ত বলেই বাইসাইকেল কিক করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। কিন্তু বলটি ধরে ফেলেন নেপালের অঞ্জনা। মাত্র দু’সপ্তাহের অনুশীলন করে নেপালের এ খেলোয়াড়েরা বাংলাদেশে এসেছেন। অথচ বাংলাদেশের এ দলের একাদশের ৯ জন ঘরোয়া ফুটবলে খেলেন বসুন্ধরা কিংসের হয়ে। দলীয় বোঝাপড়ায় কোনো কমতি নেই তাদের। মেয়েদের লিগেও নিয়মিত খেলেছেন একাদশে। ঘরোয়া ফুটবলে গোলের দেখা পাওয়া ওই মেয়েরাই এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে এসে খেই হারালেন। নেপালের কোচ হরি ওম শ্রেষ্ঠার কৌশলই ছিল রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠা। ওই কৌশলে অবশ্য পঞ্চাশ ভাগ সাফল্য তার। রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে নেপালি খেলোয়াড়দের। সেটা ঠিকভাবে সামলাতে পারলেও প্রতি–আক্রমণে আর ওঠা হয়নি তাদের।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বেড়েছে বাংলাদেশের। ৫৪ মিনিটে ঋতুপর্ণার শট থেকে নিশ্চিত গোল বাঁচান বিমলা বিকে। গোলরক্ষক অঞ্জনা জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এলেও গোললাইন সেভ করেন বিমলা। ৮৭ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মনিকার বা পায়ের শট দুর্দান্ত দক্ষতায় ফিস্ট করে ফেরান অঞ্জনা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com